শিক্ষাক্ষেত্র থেকে এবার পুরসভার দিকে ঝুঁকল ইডি, গত ৮ বছরে কীভাবে পুরসভাগুলিতে নিয়োগ হয়েছে, তথ্য চেয়ে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির তদন্তের মধ্যেই এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের দিকে ঝুঁকল ইডি। নানান পুরসভায় কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে, তা জানার জন্য এবার রাজ্যের দুই দফতরকে চিঠি পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ৮ বছরে কীভাবে পুরসভাগুলিয়ে নিয়োগ হয়েছে, কারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট পেলে তা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের অফিস থেকে পাওয়া তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের স্বার্থে তাই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসকে চিঠি দিল এই তদন্তকারী সংস্থা। ২০১২ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগের প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল এই মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস দফতর।
তদন্তকারী সংস্থার তরফে চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে পুরসভাগুলিতে কীভাবে নিয়োগ হয়েছে? এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কারা যুক্ত ছিল? টেন্ডারের মাধ্যমে কোন কোন সংস্থা দায়িত্ব পেয়েছিল? কারা চাকরি পেয়েছে?
সূত্রের খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস এই রিপোর্ট পেশ করলে, তা মিলিয়ে দেখা হবে অয়ন শীলে সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া পুর নিয়োগের তালিকার সঙ্গে। কয়েকদিন আগেই এই চিঠি দেওয়া হলেও এখনও কোনও রিপোর্ট মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই পুরসভায় দুর্নীতির দিকটি সামনে আসে। ইডি-র দাবী, টাকার বিনিময়ে পুরসভায় হাজার হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে। এই নিয়ে তদন্তে উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার নাম। সেই সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এবার এই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে উদ্যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই তদন্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এবার তাই তদন্তের গতি বাড়িয়ে সমস্ত তথ্য পেতে পুর ও নগরোন্নয়ন এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।