রাজ্য

‘চোখের সামনে দিয়ে সব ব্যালট বাক্স নিয়ে গেল’, ভোট লুটের অভিযোগ ময়ূরেশ্বরে, বুথে বসে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার

মহিলা ভোটারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই মহিলা পরিচালিত বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকেও এল ভোট লুটের খবর। সকালে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শুরু হলেও বেলা বাড়তেই দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে ভয় পান বুথের প্রিসাইডিং অফিসাররা। লাঠিসোঁটা দেখিয়ে আব ব্যালট বক্স লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানান মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার। ভোট লুটের জেরে টেবিলে বসে মাথায় হাত দিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় ওই মহিলা প্রিসাইডিং অফিসারকে।

ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের রাজচন্দ্রপুর গ্রামের ১৪৭ নং বুথে। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের ভার সামলাচ্ছিলেন রঙ্গনা। তাঁর দাবী, বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর চোখের সামনে মুখে সাদা কাপড় বেঁধে লুঠ হয়ে যায় ভোট।

এই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, “১১টার মধ্যে ভোট হয়ে এসেছিল। মেসেজটা করার ঠিক আগে অনেকে বুথে ঢুকল। সকলের মুখ বাঁধা। হাতে লাঠি ছিল। সব ব্যালট নিয়ে গেল। (কান্না জড়ানো গলায়) আমার সামনে ব্যালট চুরি হয়ে গেল। ঘরের মধ্যে সেভাবে নেটওয়ার্কও নেই। পুলিশকে ফোনও করতে পারিনি এত দ্রুত সব ঘটে গেল। এখন বিডিওকে সব জানিয়েছি। বলা হয়েছে, ফোর্স আসছে”। টেবিলে বসে দু’হাতে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় প্রিসাইডিং অফিসারকে। তিনি এও জানিয়েছেন, নতুন করে ভোট শুরু হলেও, সেই ভোটপ্রক্রিয়ায় তিনি আর অংশ নেবেন না।

ওই ভোটকেন্দ্রের অন্য এক ভোটকর্মী বলেন, “সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু করেছি। সকালে ভালোভাবেই ভোট শুরু হয়েছিল। এরপর কয়েকজন লোক মুখে কালো সাদা কাপড় বেঁধে বুথে প্রবেশ করেছিল। আক্রমনাত্মক মনোভাব নিয়েই ওরা ঢুকেছিল। ব্যালটবাক্স ওরা ফেলে দিয়েছিল। কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিলেন না। আতঙ্কে রয়েছি”।

প্রিসাইডিং অফিসার বলছেন, বুথের ভেতরে নেটওয়ার্ক কাজ করছিল না। সেই কারণে তড়িঘড়ি পুলিশকে জানানো যায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল না। বিডিওকে সবটা জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

Back to top button
%d bloggers like this: