রাজ্য

‘দুর্নীতি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে আত্মাহুতি দেব’, কলকাতা পুরসভায় নিয়োগে কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই আবেগপ্রবণ ফিরহাদ

নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) নিয়ে রাজ্যে বিতর্কের অন্ত নেই। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক তাবড় তাবড় নেতার। এর জেরে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল (TMC)। এবার কলকাতা পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। এবার এই দুর্নীতি নিয়ে উত্তর দিতে গিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), তাঁর স্পষ্ট জবাব, যারা পরীক্ষায় পাশ করেছেন, তারাই চাকরি পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভায় বিশেষ বিভাগে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের একটি তালিকা প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর দাবী, এই বিশেষ বিভাগে চাকরি হওয়া ১৪৮ জনের মধ্যে ১১৮ জন নদিয়া বা এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের, ২৪ জন চেতলা বা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পাড়া থেকে আর বাকি ৬ জন ভদ্রেশ্বর বা বৈদ্যবাটি অঞ্চলের।

বিজেপি নেতার প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের আর কোনও প্রান্ত থেকে কী পুরসভার চাকরির জন্য কেউ আবেদন করেন নি? নাকি অন্য কোনও প্রান্তের মানুষ এই চাকরির জন্য উপযুক্ত ছিলেন না? শুধুমাত্র এই তিনটে অঞ্চল থেকেই কেন? আর খোদ মেয়রের পাড়া থেকে এত লোক একসঙ্গে চাকরি পেয়েছেন, তা কী সন্দেহজনক নয়?

বিজেপি নেতার এই দাবী প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই সব নিয়ে আমি কিছু বলব না। কারণ নোংরামি হচ্ছে। যে পরীক্ষা দিয়েছে সে চাকরি পেয়েছে। আমি কী করে বলব? যে দিন ববি হাকিমের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি প্রমাণ হবে সেদিন সিবিআই-এর প্রয়োজন হবে না। আমি নিজেই আত্মাহুতি দিয়ে দেব”।

অন্যদিকে আবার ফিরহাদের ক্তহার পাল্টা উত্তর দিতে গিয়ে নারদা স্টিং অপারেশনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সজল ঘোষ। তাঁর কথায়, “২ লক্ষ লোক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৮ জন তিনটি পাড়ার। কীভাবে সম্ভব হয়”?

Back to top button
%d bloggers like this: