রাজ্য

‘মুসলমান কা বাচ্চা হ্যায়! মারো, এটাই বিজেপির ভাষা, স্কুলে ধর্মীয় বিভাজন ছড়াচ্ছে ওরা’, গেরুয়া শিবিরকে বেলাগাম কটাক্ষ ফিরহাদের

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের এক বেসরকারি স্কুলের একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখাক গিয়েছে, এক শিক্ষিকার নির্দেশে এক মুসলিম সহপাঠীকে চড় মেরেছে ক্লাসের ৪০ জন পড়ুয়া (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি খবর ২৪x৭)। সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করে সর্বভারতীয় রাজনীতি তোলপাড়। স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে ধর্মীয় রাজনীতির মতো নোংরা জিনিস ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি বিরুদ্ধে।

কী বক্তব্য ফিরহাদ হাকিমের?

এই প্রসঙ্গকে টেনে বিজেপিকে দেশ থেকে অবিলম্বে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বললেন, “গুলি মারো, কাট দো, মার দো- এই তো হল বিজেপির ভাষা! উত্তরপ্রদেশে একটি স্কুলে টিচার ক্লাসেরই একটা বাচ্চাকে দেখিয়ে বাকিদের বলছে- মুসলমান কা বাচ্চা হ্যায়! মারো! এই বাচ্চাটা কি শিখছে? ও বড় হয়ে কী করবে”।

নিজেই এর জবাব দিয়ে ফিরহাদ বলেন, “আজকে নরেন্দ্র মোদী জিতছেন। কিন্তু জাতপাতের এই কালচার, এটা দেশের পক্ষে মহামারী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দেশটার সর্বনাশ করে দিচ্ছে বিজেপি। এরা যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা থেকে চলে যায়, ততই ভালো”।

কী জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল

ফিরহাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ফিরহাদ এটাই স্পষ্ট করতে চেয়েছেন যে জাতপাত নিয়ে হিংসার রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। আবার অন্য এক অংশের মতে, আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। মোদী সরকারকে গদিচ্যুত করতে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস মিলিয়ে মোট ২৬টি বিরোধী দল মিলে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। এই জোটের সরকার কেন্দ্রকে আনতে গেলে বাংলা থেকে তৃণমূলকে অনেক বেশি আসন জিততে হবে। এখন থেকেই ফিরহাদ ভোটের প্রচার সারছেন বলে মত ওই একাংশের।

বিজেপির কী মত?

অন্যদিকে, এই বিষয়ে বিজেপির বঙ্গ নেতারা সম্প্রতি মালদহ ও হাওড়ার পাঁচলায় মহিলাদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। তাদের কথায়, “একজন শিক্ষিকা এমন মন্তব্যকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। ওঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু নিজেদের দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে তৃণমূল যে এসব প্রসঙ্গ টানছে তা বাংলার মানুষ ভালো করেই জানেন”।

Back to top button
%d bloggers like this: