মাঝরাতে বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন, ভস্মীভূত বাড়ির একাংশ, অভিযোগের কাঠগড়ায় তৃণমূল, শোরগোল শ্রীরামপুরে

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগে শাসক-বিরোধী সংঘাত বেড়েই চলেছে। এবার এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। অভিযোগ, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েতের সিমলা কালীতলার উত্তর মণ্ডল পাড়া এলাকায়।
বিজেপি কর্মী প্রবীর বৈদ্যের কথায়, দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। আর এর জেরেই আগুন লাগানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত রয়েছে বলে দাবী ওই বিজেপি কর্মীর। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সেখানে পৌঁছয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বাড়ির একাংশ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
বিজেপি কর্মী প্রবীর বৈদ্যের অভিযোগ, “আগুন লাগানোর মূল কারণ হচ্ছে জমি মাফিয়া তৃণমূল দল এবং প্রধান এর সঙ্গে ওতপ্রত ভাবে জড়িত। আমাদের জমি জোর করে জমি নিয়ে বিক্রি করতে চাইছে। আমি বিরোধী দল করি বলে তারা আমার উপরে আরও বেশি ক্ষমতা প্রয়োগ করছে। প্রধান দুষ্কৃতীদের পাঠিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকিয়ে মারধর করে। পাশে থাকা জামাই আসতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়”।
তিনি আরও জানান, “আমরা গিয়ে দেখি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীরা মিটিং করছে। তখন বুঝতে পারি প্রধান ও তৃণমূল পার্টি এদের সঙ্গে যুক্ত। জমি মাপিয়াড়া ঢুকে আমাদের উপর অত্যাচার করছে। ১৬ বছর ধরে মামলা চলছে। তবুও জোর করে তৃণমূল পার্টি ও প্রধান মাফিয়াদের ঢুকিয়ে জমি দখল করে নিতে চাইছে”।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা আনসার মল্লিক বলেন, “এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কাম্য নয়, তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তিনি বিজেপি কবে করলেন আমি জানি না। তিনি নব্য বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। আমাদের নামে বদনাম করার জন্য চক্রান্ত চলছে। আগে তৃণমূল কংগ্রেস করত”।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা মনোজ সিং বলেন, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি নেই, তারা এত দুর্নীতি করেছে যে তারা জানে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে পারবে না। তাই আমাদের কর্মীকে ধমকাচ্ছে, গুন্ডা পাঠাচ্ছে। শুক্রবার রাত্রে আমাদের কর্মীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সময় মতো দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় বগটুই এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ধমকিয়ে, চমকিয়ে আমাদের কর্মীকে ভয় দেখানো যাবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবেন”।