২৫ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন তল্লাশি ও জেরা, ভোর চারটের সময় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন তদন্তকারীরা, তবে কী গ্রেফতার?

২৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে তল্লাশি ও জেরা। এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এরই মাঝে আজ, বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপরই তুমুল শোরগোল পড়ে। প্রশ্ন ওঠে, বিধায়ককে নিয়ে কোথায় গেলেন আধিকারিকরা?
গতকাল, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। শুধু বাড়িই নয়,তাঁর অফিসেও চলছিল তল্লাশি। কৃষ্ণ কল্যাণীর হিসাবরক্ষক, ম্যানেজার, ব্যবসার অংশীদারদের বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। রাতভর তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আয়কর দফতরের কর্তারা হানা দিতেই বিধায়কের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা।
সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার ভোর চারটের কিছু পরে বিধায়কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। কৃষ্ণ কল্যাণীও ছিলেন তাদের সঙ্গে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, বিধায়ককে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? তবে কী গ্রেফতার? জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ কল্যাণীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর সুদর্শনপুরে রয়্যাাল এনফিল্ডের শোরুমে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
সেখানেও বিধায়কের একটি অফিস রয়েছে বলে খবর। সেই অফিসেও গতকাল থেকে চলছে তল্লাশি। অনুমান, সেখানে কোনও আলমারি বা কোনও সিন্দুক খুলতে প্রয়োজন খোদ বিধায়ককে। তাঁর বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ, হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি ও আয়কর রির্টানে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।
এদিন কৃষ্ণ কল্যাণীকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি জানান, “ওঁদের সঙ্গে পুরো সহযোগিতা করছি। ওঁরা ভাল ব্যবহার করেছে। আমি সন্তুষ্ট”। বিধায়ক জানান, তদন্তকারীরা তাঁকে অফিসে নিয়ে যাচ্ছেন না। বরং তিনি নিজেই আধিকারিকদের সুদর্শনপুরের অফিসে নিয়ে যাচ্ছেন। দৃঢ় কণ্ঠে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “রায়গঞ্জের বিধায়ক কোনও দুর্নীতি করে না। মানুষের জন্য কাজ করে। কাল এটা প্রমাণ হয়ে যাবে”।