যাহ্! বিধানসভা কাঁপাতে ময়দানে নেমেছিলেন, ৩০ জন প্রার্থী খুঁজতেই নাজেহাল আব্বাস লড়বেন ২৬ আসনে

সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বদ্ধ ভাবে ময়দানে নেমেছেন আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। তাকে বেশ সমীহই করছে বাম শিবির।
বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম রঙিন চরিত্র আব্বাস সিদ্দিকি চেয়েছিলেন কমপক্ষে ৩০টি আসনে প্রার্থী নিতে। কিন্তু, মাত্র সেই ৩০টি আসনে দেওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজতে রীতিমতো চাপে পড়ে গেছেন সেকুলার ফন্টের নেতারা, এমনটাই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন-কে কোন জায়গায় দাঁড়াচ্ছেন? একঝলকে দেখে নিন বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা
আপাত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এই কারণে বামেদের সঙ্গে ৩০ আসনের সমঝোতা হলেও শেষ পর্যন্ত ২৬টি আসনেই লড়তে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
মোর্চায় ভালো রকমের জট বেঁধেছে। প্রথমে কংগ্রেসকে আসন ছাড়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরপর কংগ্রেস আইএসএফ-কে আসন ছাড়বে কি না তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। সেই জট যখন কাটে তখন নতুন জটিলতা তৈরি হয়। প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হতে যখন মাত্র ১৫ দিন বাকি, তখনই জানা গেল যে আইএসএফ ৩০ টি আসনে দেওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী পাচ্ছে না। যে কারণে ২৬ আসনে তারা লড়বে বলে জানিয়েছেন আইএসএফ সভাপতি শিমল সোরেন।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রাম নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী!
ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে সিপিএম-কে আসন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে আইএসএফ। রঘুনাথপুর এবং শালতোড়াতেও দেখা গিয়েছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএসএফ-র হাতে যোগ্য প্রার্থীই নেই সেই ৩০টি আসনে দেওয়ার মতো। প্রার্থীর অভাবের কথা আলিমুদ্দিনকে জানিয়েছে আইএসএফ। তার পরই সমস্যার নিরসন করতে এগিয়ে আসে আইএসএফ। সমঝোতার আসন ৩০ থেকে কমিয়ে ২৬ করা হয়।
আব্বাসের সঙ্গে অধীরের সম্পর্ক খুব একটা ভালো বলা চলে না। আর আব্বাসের এই সিদ্ধান্তের ফলে পরোক্ষে কংগ্রেস কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে বলাই চলে। কেননা, বিগত কদিন যাবত আইএসএফ মালদা ও মুর্শিদাবাদেও আসন দাবি করছিল। কংগ্রেস যদিও আসনগুলি না ছাড়ার বিষয়ে জেদ ধরে ছিল। আব্বাসও নাছোড়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রার্থী না পাওয়ায় আগের দাবি থেকে সরে আসতে হচ্ছে আইএসএফ-কে।