রাজ্য

লক্ষ্মী বারে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ নিয়ে শহরে নাড্ডা! এবার বাংলার জনতার চাহিদাই প্রাধান্য পাবে বিজেপির ইস্তাহারে

শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। সব রকম ক্ষমতা দিয়ে রাজ্য দখলের চেষ্টায় নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বঙ্গ জুড়ে পদ্ম ফোটাতে প্রতি সপ্তাহে রাজ্যে আসছেন বিজেপির হাইকমান্ড। মোদী-শাহ্’র পর এবার লক্ষ্মীবারে শহরে এসেছেন গেরুয়া শিবিরের সর্বাধিনায়ক জে পি নাড্ডা। প্রত্যাশিত মধ্যাহ্নভোজ থেকে মনীষীদের সম্মাননা সবই রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচিতে।

বিজেপির হাত ধরেই সোনার বাংলা তৈরি হবে। এই স্বপ্ন ফেরি করেই বাংলার মসনদ দখল করতে চাইছে বিজেপি। তবে শুধু ফাঁকা আওয়াজ নয়, এবার তা করে দেখাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।

বঙ্গ বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত কেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচনী ইস্তেহার বানানোর বিষয়ে মতামত নেবে পদ্মশিবির। সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সেই আলোচনায় যেসব প্রস্তাব ও পরামর্শ উঠে আসবে, তা মাথায় রেখেই একুশের ভোটের ইস্তেহার বানাবে  বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভায়  ৩০ হাজার বক্স রাখা হবে। সেখানেই বাংলার জনতা নিজেদের চাহিদার কথা লিখে জানাতে পারেন। এছাড়াও ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের সুবিধা, অসুবিধা, চাহিদার কথা জানানো যাবে। টুইটার বা ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ লক্ষ্য সোনার বাংলা লিখে নিজেদের পরামর্শ, চাহিদার কথা জানালেও তা গ্রহণযোগ্য হবে।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী ইস্তেহার বানানোর এই রেওয়াজ চোখে পড়েছিল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনেও। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালেও একই পদ্ধতি নিয়েছিল কেন্দ্রের শাসকদল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সেই ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচি সারার পর ব্যারাকপুরে রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করবেন নাড্ডা। দুপুরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁঠালপাড়া নাড্ডার গন্তব্য। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ও মিউজিয়াম দর্শনের পর নৈহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক দেবনাথ যাদব জুটমিল কর্মীর বাড়িতে পাত পেড়ে দুপুরের খাবারের পর্ব সারবেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি। মেনুতে থাকছে দু’রকম ডাল, পোস্তর বড়া, লাল শাক ভাজা, আলু ভাজা, করলা ভাজা, বেগুন ভাজা, এঁচোড়-আলুর তরকারি ও পনিরের পদ। এছাড়াও থাকছে আমের চাটনি ও পাপড়। শেষ পাতে বাঙালি বাড়ির গুড়ের পায়েস, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, মাখা সন্দেশ, মিষ্টি দইয়ের ব্যবস্থা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তুতিতে সকাল থেকে সাজ সাজ রব।

Back to top button
%d bloggers like this: