WB Election 2021: উজ্জ্বল নক্ষত্রের ভুয়ো প্রশংসা! মুকুলের সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রই কী হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ

বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সকলেরই উত্তেজনা তুঙ্গে। এবারের নির্বাচন যে মূলত তৃণমূল বনাম বিজেপি হতে চলেছে, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগেই তৃণমূলের প্রথম ভাঙনটা শুরু করেন মুকুল রায়। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেও সেই একই চিত্র দেখা দিল। দল ছেড়ে বেরিয়ে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই মুকুল রায়ের গলাতেই উঠে এল শুভেন্দুকে নিয়ে প্রশংসা সূচক বার্তা।
এদিক উত্তর কলকাতার লেবুতলা পার্কে ছিল বিজেপির সভা। এদিনের এই সভাতে শুভেন্দু অধিকারী, বাবুল সুপ্রিয়-সহ উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বেরা। এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য বিজেপির সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র বলে দাবী করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। শুভেন্দুও এই কথা শুনে মুকুলের প্রতি নমস্কার করেন। মুকুল রায় এও বলেন যে, এই কথা কারোর ভালো লাগতে পারে, আবার নাও লাগতে পারে। শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্র বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- নাড্ডার উপস্থিতিতেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন টলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী
এবার স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে যে রাজ্য বিজেপির এই উজ্জ্বল নক্ষত্রই কী তবে আগামী নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে চলেছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার বলেছেন যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হবে বাংলারই কোনও ভূমিপুত্র। তবে কী মুকুলের উজ্জ্বল নক্ষত্রই অমিত শাহ্’র সেই ভূমিপুত্র? এই প্রশ্ন উঠেছে এখন রাজনীতির অন্দরে। বিজেপির কাকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করবে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা।
আরও পড়ুন- ফিরহাদের পেছনে বসে ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপেই নবান্নে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিনের সভায় মুকুল রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষার ব্যবহার নিয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, শিষ্টাচার, কৌলীন্য সবকিছু ভেঙে পড়েছে। এর জবাব যে ভোটের বাক্সেই দিতে হবে, এ বলেন তিনি। মুকুলের দাবী, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চমকানি, ধমকানি আর থাকবে না। তিনি বলেন যে সাহস করে এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য ঠিক রেখে এগোলেই ২০০-এর বেশি আসন নিয়ে বিজেপি অবশ্যই বাংলায় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশাবাদী মুকুল রায়। এদিন শেষে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়েই তিনি স্লোগান শেষ করেন।