রাজ্য

ফের ফাটল বোমা! এবার ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, ১৫ লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশ

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রথম লাইমলাইটে এসেছিলেন ববিতা সরকার। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। অঙ্কিতার চাকরিজীবনের বেতনও দেওয়া হয়েছিল ববিতাকে। তবে এবার সেই ববিতা সরকারেরও চাকরি গেল। তাঁর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এসএসসি-র তরফে যে তথ্য আদালতে পেশ করা হয়েছে ও বাকি সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর কম ছিল। সেই কারণে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যাতে ববিতার চাকরি দেওয়া হয় মামলাকারী অনামিকা রায়কে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনামিকাকে আর বেশিদিন ভোগানো উচিত নয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ১৯শে মে-র মধ্যে ববিতার কাছে জমা ১৫ লক্ষ টাকা রেজিস্টার জেনারেলকে জমা দিতে হবে। ববিতা আর্জি জানিয়েছিলেন যে এসএসসি তাঁকে এই বিষয়ে আগে কিছু জানায়নি। তাই টাকা ফেরত দিতে তাঁর কিছুটা সময় লাগবে।

ববিতা আদালতে জানান, ১১ লক্ষ টাকা তিনি আজই ফেরত দিতে পারবেন কিন্তু বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে তিনমাস সময় চান তিনি। বাকি টাকা ৫ই জুনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ববিতাকে। আদালতের তরফে এও জানানো হয়েছে, চাকরি পাওয়ার পর ববিতা যে টাকা রোজগার করেছেন, সেই টাকা ফেরত দিতে হবে না তাঁকে।

হাইকোর্ট জানিয়েছে, একাদশ-দ্বাদশ পরীক্ষায় বসতে পারবে ববিতা। ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় ববিতা প্রথম যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। এই বিষয়টি বিবেচনা করবে কমিশন। এই গোটা ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিন আদালতে ববিতা আর্জি জানান যে কোনওভাবেই কি তাঁর কথা ভাবা যায় না? ববিতার আর্জিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মামলায় ববিতার ভুল স্পষ্ট। আদালত চাইলে তাঁকে শাস্তি দিতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি, সেটুকু স্বস্তি নিয়েই যেন তিনি হাইকোর্ট থেকে যান।

Back to top button
%d bloggers like this: