ত্রিপুরার প্রথম মহিলা ট্রেন চালক হলেন দেবলীনা, রেলই কেরিয়ারের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা, বললেন তরুণী

সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে রেলে চাকরি পাওয়া মানে তো হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান বলা হয়। সেই স্বপ্নকেই সত্যি করে দেখালেন তরুণী। ত্রিপুরার প্রথম মহিলা ট্রেন চালক হলেন দেবলীনা রায়। তিনি ত্রিপুরার আগরতলার বাসিন্দা বটে। তবে দেবলীনা যোগ দিলেন ভারতীয় রেলের খড়গপুর ডিভিশনে সহকারী লোকো পাইলট হিসেবে।
জানা গিয়েছে, দেবলীনা আগরতলার একটি নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করেন। এরপর তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। তারপর ২০১৭ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় চলে আসেন দেবলীনা। এখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করেন।
১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে প্রযুক্তিবিদ্যার স্নাতকরাই এই রেলের পদের আবেদন করতে পারেন। কম্পিউটার মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা হয়। আর তারপর শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। সমস্ত পরীক্ষায় সাফল্যের মুখ দেখেছেন দেবলীনা। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাশ করলেও তাঁর লক্ষ্য ছিল রেলের চাকরি। সেই লক্ষ্যে দিকে এগিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে আজ সহকারী লোকো পাইলট হলেন দেবলীনা।
কিন্তু এত পেশা থাকতে হঠাৎ রেল কেন? দেবলীনার কথায়, “কেরিয়ারের জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা ভারতীয় রেল। আর সে কারণেই এই পেশা বেছে নিয়েছিলাম। সফলও হয়েছি”। তিনি এও কামনা করেছেন যাতে সমাজের প্রতিটি মেয়েই তাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারেন।
মেয়ের এমন সাফল্যে খুব খুশি দেবলীনার বাবা রণবীর রায় এবং চন্দ্রাণী ভট্টাচার্য। তারা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমরা কন্যাকে উচ্চশিক্ষিত করতে চেয়েছিলাম। শুধু তাই-ই নয়, আমাদেরও স্বপ্ন ছিল কন্যা ভারতীয় রেলে যোগ দিক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমরা খুশি”।
জানা গিয়েছে, দেবলীনা চাকরিসূত্রে পশ্চিমবঙ্গে থাকলেও, তাঁর মা-বাবা আগরতলাতেই থাকবেন। এখন প্রশিক্ষণ চলছে দেবলীনার। সেই প্রশিক্ষণ শেষ হলেই দেবলীনা যোগ দেবেন খড়গপুর ডিভিশনে সহকারী লোকো পাইলট হিসেবে।