রাজ্য

মিড ডে মিলের জন্য ডিম, সবজির টাকা আটকে রাখার অভিযোগ, টাকা না দিলে রান্না বন্ধ, হুঁশিয়ারি শানালেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ডিম, সবজির টাকা। এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতাও বন্ধ, এমনটাই অভিযোগ তুললেন বাঁকুড়া জেলার আইসিডিএস কর্মীরা। আর এর প্রতিবাদে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও শানালেন তারা। ডিম, সবজির তিনমাসের বকেয়া বিল ও কর্মীদের বকেয়া ভাতা না মেটালে জেলার কোনও আইসিডিএস সেন্টারে মিড ডে মিল রান্না হবে না, আজ, সোমবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক দফতরে গিয়ে এমনটাই জানায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠন আইসিডিএদ কর্মীসমিতি।

বাঁকুড়া জেলায় মোট ৫৭৩৯ টি আইসিডিএস কেন্দ্র রয়েছে যা পরিচিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হিসাবে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রতিদিন রান্না করা পুষ্টিকর খাবার পান প্রায় দেড় লক্ষ শিশু ও প্রসূতি। মূলত গর্ভবতী মহিলারা ও ছোট্ট বাচ্চারাই খাবার পায় এই কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রগুলিতে চাল ও ডাল সরাসরি সরবরাহ করে সরকার। তবে ডিম, সবজি, রান্নার গ্যাসের খরচ বাবদ একটা অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। শিশুদের মাথাপিছু ৮ টাকা ও প্রসূতিদের মাথাপিছু ১১ টাকা হারে বরাদ্দ রয়েছে।

প্রতি মাসের শেষে সেই টাকা সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, গত তিনমাস ধরে ডিম, সবজি ও গ্যাসের দামের টাকা পাচ্ছেন না বাঁকুড়া জেলার আইসিডিএস কর্মীদের একটা বড় অংশ। এর জেরে কেন্দ্র চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণের মুখে পড়েছেন আইসিডিএস কর্মীরা।

বিক্ষোভকারী আইসিডিএস কর্মীদের দাবী, তারা এতদিন মাইক্রো ফিনান্সের মতো সংস্থাগুলির কাছে ঋণ নিয়ে কেন্দ্র চালাচ্ছিলেন। কিন্তু একদিকে তিনমাস ধরে বরাদ্দ বন্ধ, আবার অন্যদিকে দু’মাস ধরে জেলায় দু’মাস ধরে ভাতা বন্ধ থাকায় এবার চরম বিপদে পড়েছেন আইসিডিএস কর্মীরা। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল, সোমবার বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরে হুঁশিয়ারি দেন আইসিডিএস কর্মীরা।

এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, “৭৫ শতাংশ টাকা কেন্দ্র দেয়, ২৫ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য। এখন কেন্দ্র কিছুই দিচ্ছে না। পুরোটাই রাজ্য সরকারকে দেখতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে তো বিরোধীদেরও সরব হওয়া দরকার। মুখে কুলুপ কেন? ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ, গ্রামসড়ক যোজনার টাকা বন্ধ, আবাসের টাকা বন্ধ। আইসিডিএসের খাবারের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে”।

Back to top button
%d bloggers like this: