ফের টেটে প্রশ্ন ভুল নিয়ে বিতর্ক! উত্তর দিলে নম্বর দিতেই হবে প্রার্থীকে, উত্তীর্ণ হলে দিতে হবে চাকরিও, কড়া নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

২০২৪ সালের টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না। পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অভিযোগ উঠেছিল যে সেবারের পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল এসেছিল। কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। এরই মধ্যে এল আরও এক অভিযোগ। সম্প্রতি কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী দাবী করেছেন যে ওই বছর টেটে উর্দু বিষয়ের পরীক্ষায় ৫টি ভুল প্রশ্ন এসেছিল।
আজ, সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এদিন রিপোর্ট জমা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে ভুল স্বীকার করা হয়েছে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পর্ষদ যেহেতু নিজের ভুল স্বীকার করেছে, সেই জন্য এই পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের কারণে নম্বর দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
বিচারপতি এদিন নির্দেশ দেন যে যেসমস্ত পরীক্ষার্থী ওই ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, তাদের ৫ নম্বর বেশি দিতে হবে। সেই নম্বর বাড়ার পর যদি দেখা যায় তারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাহলে ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
আদালত এদিন আরও জানায় যে প্রশ্নপত্রে ভুলের জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়ার পর কারা কত নম্বর পেলেন, তা নিয়ে পর্ষদকে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পর্ষদের ভুলের জন্য নির্দোষ প্রার্থীরা ভুক্তভোগী হতে পারেন না। চার বছর ধরে তাঁরা ভুক্তভোগী হচ্ছেন। আর নয়”।
এরপরই বিচারপতি বলেন, “এই ভুলের জন্য তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি (পড়ুন মানিক ভট্টাচার্য) সহ বাকিদের ভুগতে হবে। আগামী শুনানির দিন এই নিয়ে আমি নির্দেশ দেব”। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।