‘অতিচালাকি একেবারেই বরদাস্ত নয়’, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের ইডি-র বিরুদ্ধে অভিযোগে চটলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতিতে (recruitment scam) ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) দাবী করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলানোর জন্য চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় এই নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Courtk) নির্দেশ দিল যে এই বিষয়ে নিম্ন আদালত বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কুন্তল ঘোষ যে অভিযোগ করেছে, সেই অভিযোগপত্র দেখতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যায় ইডি। আজ, বুধবার এই বিষয়ের দিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইডি-র আইনজীবী। তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে, তা জানতে চান বিচারপতি।
ইডি-র আইনজীবীর এই দাবীর প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতে জমা দেওয়া কুন্তল ঘোষের অভিযোগপত্র আজ, বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারককে পেশ করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তিনি এও নির্দেশ দিয়েছেন যাতে হেস্টিংস থানার অভিযোগপত্রও হাইকোর্টে পেশ করা হয়।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “এটা মারাত্মক প্রবণতা। তদন্তকারী আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া এবং তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্য এসব করা হচ্ছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এসব বন্ধ করতে হবে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না”।
বলে রাখি, গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “সারদার সময়ে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে চাপ দেওয়া হয়েছিল অভিষেকের নাম বলতে। সেই থেকে চলছে। পারেনি”।
আর এর ঠিক পরদিনই কুন্তল দাবী করেন যে ইডি নাকি তাঁকে চাপ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের উপরের সারির নেতাদের নাম বলার জন্য। গত সপ্তাহে এই নিয়ে আবার চিঠিও লেখেন কুন্তল। এদিন সেই চিঠিই আদালতে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ইডি-র দাবী, তদন্তের মোড় ঘোরানোর জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে।