‘বিরোধী দলের প্রার্থী ভোটে জিতলেও পরে তৃণমূলেই যোগ দেবে’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘বায়রন মডেল’ তত্ত্ব দিলেন কুণাল

আগামী মাসেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা। শাসক-বিরোধী সমস্ত দলগুলিই লড়ছে জেতার জন্য। এমন আবহে এবার ‘বায়রন মডেলের’ হুঁশিয়ারি শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী যদি জেতেনও, তাহলেও তিনি তৃণমূলেই যোগ দেবেন পরে।
গতকাল, শুক্রবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন শুরু হয়েছে। আর প্রথম দিন থেকেই নানান অশান্তির অভিযোগ উঠে আসছে নানান প্রান্ত থেকে। কিছুদিন আগেই সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস জিতে বিধায়ক হন। কিন্তু ৯০ দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেন বায়রন।
সেই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা কিছু কম হয়নি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবী করেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে মুর্শিদাবাদ-সহ গোটা রাজ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তৃণমূল। তাঁর এই হুঙ্কার ও দাবীকে স্রেফ ‘লম্ফঝম্ফ’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, “ওরা যে এত লাফালাফি করছে, সব আসনে প্রার্থীও জোগাড় করতে পারবে না। আর যদি লম্ফঝম্ফের পর কোথাও দু’চার জন প্রার্থী জেতেও, ভোটের পর তাঁরা যখন দেখবেন, কেন্দ্র সরকার কীভাবে রাজ্যের টাকা আটকে রাখছে, আর রাজ্য সরকার কীভাবে নিজেদের প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আরও ভালভাবে কাজ করার জন্য তৃণমূলেই যোগ দেবেন”।
তাঁর সংযোজন, “ভোটের পর অন্য দলের কেউ জিতলেও তাঁদের মধ্যে বায়রনের মডেল সংক্রমিত হবে। কারণ ওরা জিতলেও নেগেটিভ রাজনীতি করবে। ভোটের আগে বেশিরভাগ আসনে তৃণমূল জিতবে। আর বিরোধীরা জিতলে সেই তৃণমূলে আসবে। সুতরাং অন্য দলকে সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন কেন”।
কুণালের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “কোনও মডেলই কাজ করবে না। তৃণমূলকে এখান বিতাড়িত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সংকল্পবদ্ধ। একতরফা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাবেন, এইসব গল্প যেন ভুলে যায় তৃণমূল”।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও কুণালের এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ঠিক তো বলছে কুণাল। এটাই তো তৃণমূল। পয়সা আছে চুরি করার। কিনে নেবে ঠিক। এইসব চোরেদের কথার জবাব দিতে আমার বিবেকে বাঁধে”।