রাজ্য

বিধায়কের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূল প্রাক্তন মন্ত্রী ও যুব সভাপতির বিরুদ্ধে, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের

বিধায়ককে বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হল তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও যুব সভাপতি-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার এলাকায়। জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার বিধানসভার বিধায়কের বাড়িতে সোমবার রাতে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। জানা যায়, বিধায়কের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে তারপর তাঁর বাড়িও লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার চারদিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল ইংরেজবাজার পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমান জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি-সহ আরও ১২ জন। তবে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও তাদের কাউকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি।

আরও পড়ুন- সুখবর! কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়তে পারে, জল্পনা তুঙ্গে

ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল? গত সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এরপরই বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। নীহাররঞ্জন ঘোষের দাবী, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তাঁর দাবী, তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এমনকি সিসিটিভি ফুটেজে ওই দুজনকে দেখা গিয়েছে বলেও দাবী নীহাররঞ্জনবাবুর।

সামনেই নির্বাচন। এই সময় এমন এক পরিস্থিতিতে পড়ে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলের শীর্ষনেতারা। এই বিষয়ে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নীহারবাবু পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাছাড়া, পুলিশও ঘটনাস্থলের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

আরও পড়ুন- WB Election 2021: তৃণমূলের শেখানো বুলি না বললে মন্ত্রিত্ব যাবে, ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ, তীব্র কটাক্ষ অনুপমের

এদিকে, এই ঘটনায় দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। তাঁর কথায়, সেদিন রাতে বিধায়কের পাড়ায় একটি ঝামেলার‍্য তাঁর ওয়ার্ডের কিছু ছেলে জড়িয়ে পড়ে। এই খবর পেয়ে তিনি ও প্রসেনজিৎবাবু সেখানে গিয়ে তাঁর ওয়ার্ডের ছেলেদের ফিরিয়ে আনেন। বিধায়কের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন তিনি। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন যে সেদিন মহদিপুর ও কালিয়াচকের কিছু সমাজবিরোধী বিধায়কের বাড়িতে একটি গোপন বৈঠক করে। তাঁর কাছে খবর রয়েছে যে তাঁকে খুন করার জন্যই ওই বৈঠক হয়।

Back to top button
%d