রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের মাস্টারস্ট্রোক মমতার! ‘জঙ্গলসুন্দরী শিল্পনগরী’তে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

শিল্পশহর রঘুনাথপুরে (Raghunathpur) ‘জঙ্গলসুন্দরী শিল্পনগরী’তে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় হুটমুড়া ময়দানে প্রশাসনিক সভা ছিল মমতার। সেই সভা থেকেই এমন ঘোষণা করলেন মমতা। রাজ্য বাজেটে রঘুনাথপুরের এই ‘জঙ্গলসুন্দরী শিল্পনগরী’তে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা বলে দেড় লক্ষ চাকরির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

এদিন বাজেটের সেই রেশ ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “‘জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী’ রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে। বেকারদের আর ঘুরে বেড়াতে হবে না”।

এর পাশাপাশি দেউচা- পাঁচামিতেও লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান মমতা। শুধু তাই-ই নয়, জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার ক্ষুদ্র শিল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। চেম্বার্স অফ কমার্সকে স্পেশ্যাল ইনসেনটিভ দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্পে সহায়তা করার কথাও বলেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগমের অধীনে রঘুনাথপুর ‘জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী’তে মোট ২৪৮৩.০৬ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে শ্যাম স্টিলকে দেওয়া হয়েছে ৬০০ একর জমি। তাদের প্রকল্প মূল্য ১,৮০০ কোটি টাকা। শ্যাম স্টিলের এই প্রকল্পে প্রায় ৩৫,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলে খবর।

রঘুনাথপুরে এই কারখানা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার রাজ্যের দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লকের খনি রূপায়নের কাজও বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে। পরীক্ষামূলক খননকার্য ঠিকঠাকভাবে শেষ হলে শীঘ্রই সেখান থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পে মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

অন্যদিকে আবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শিল্পায়নের প্রসারে তিনটি প্রধান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ইকোনমিক করিডরের প্রস্তুতি চলছে । এই করিডর গুলি হল ডানকুনি-হলদিয়া, ডানকুনি- রঘুনাথপুর ও ডানকুনি- কল্যানী। এদিনের সভা থেকে  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই তিনটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হলে শিল্পের প্রসার ঘটবে। রাস্তার পর রাস্তা জুড়ে শিল্প হবে। ডানকুনি- রঘুনাথপুর রাস্তা বর্ধমান থেকে বড়জোড়া হয়ে রঘুনাথপুরে মিশে যাবে। অনেকগুলো জেলা উপকৃত হবে”।

এই জেলায় ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্রদফতর থেকে ভালো কাজ হচ্ছে। এখানে মোট ১৪টি ক্লাস্টার হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এখানে ক্লাস্টার তৈরি হবে। জেলাশাসককে বলব চেম্বার্স অফ কমার্সের সঙ্গে বসতে। তাদের স্পেশাল ইন্সেন্টিভ দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্পের কাজকে সাহায্য করতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজকে সাহায্য করতে হবে। যাতে কর্মসৃষ্টির উন্মাদনা তৈরি করা যায়”।

Back to top button
%d