রাজ্য

‘শেয়ার বাজারে ধস, কাল তো প্রায় সরকার পড়েই যাচ্ছিল’, আদানি গোষ্ঠীর বিতর্ক নিয়ে বিস্ফোরক দাবী মমতার

আদানি গোষ্ঠীর বিতর্ক নিয়ে বিস্ফোরক দাবী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়েই তিনি বলেন, ”কাল তো প্রায় সরকার (কেন্দ্রীয় সরকার) পড়ে যাচ্ছিল। কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে (share market) ধস নেমেছিল”। কার্যত গত কয়েকদিন ধরেই আদানি গোষ্ঠী (Adani Group) শেয়ারে ধস নেমেছে। আর এর জেরে পড়ে গিয়েছে শেয়ার বাজারও। সমালোচকদের কথায়, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হল আদানি গোষ্ঠী। এই ইস্যু নিয়েই এবার কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আজ, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে বিস্ফোরক দাবী করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাউকে-কাউকে অনুরোধ করে, কাউকে বলেছে ২০ হাজার কোটি দাও, ৩০ হাজার কোটি টাকা দাও। যাদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল (আদানি গোষ্ঠী) তাঁদের দাও”।

মমতার আরও সংযোজন,”আমরা জানি তাঁরা কারা (কাদের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল)। তাঁদের নাম বলে সমস্যায় ফেলতে চাই না”। এর পাশাপাশি মমতা এও প্রশ্ন রাখেন, “এই দিয়ে সরকার চলে? একটা সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা না থাকে”?  

গতকাল, বুধবার পেশ হয়েছে চলতি আর্থিক বছরের বাজেট। সেই বাজেটকে অমাবস্যার বাজেট বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন ফের একবার কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, “বাজেটে বেকারদের জন্য একটি কথাও নেই। ভোটে এলে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট চলে গেলে ৪ কোটি চাকরি খেয়ে নেবে। কারণ সব শিল্প বন্ধ”। মমতার অভিযোগ, বাজেটে মোদী সরকার কথার কারসাজি করেছে। এমনকি, আয়করে ছাড়ের বিষয়টিও ভাঁওতা বলে কটাক্ষ মমতার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আগের করকাঠামোতে একাধিক বিনিয়োগের খাতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যেত। কিন্তু এবার আর তা হবে না। মমতার দাবী, পরিবারের স্বাস্থ্যবিমা, ন্যাশানাল পেনশন স্কিম ও অন্যান্য নানান ক্ষেত্রে আয়করে যে ছাড় পাওয়া যেত, নতুন করকাঠামোতে তা আর হবে না। কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “দিল দু’লক্ষ, কাটল আড়াই লক্ষ। তাহলে দিনের শেষে লাভ হল নাকি লোকসান”?

এদিন সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সরকার (মোদী সরকার) বেশিদিন থাকলে সব চলে যাবে। আপনারা ব্যাংকের টাকা পাবেন কিনা জানেন না। বিমার টাকা পাবেন কিনা জানেন না। এই সরকার সব ব্যাংক বন্ধ করে দেবে। জীবনবিমা উঠিয়ে দেবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: