‘এবার বিলেতি এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে হবে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে তিরস্কার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে সিবিআইয়ের উপর থেকে ক্রমেই ভরসা হারাচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা বেশ স্পষ্ট। আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে একপ্রকার তিরস্কার করেই বিচারপতি বলেন, “আমাকে তো দেখছি সিবিআইয়ের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা MI5-এর উপর ভরসা করতে হবে”।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েই বলেন যে ঠিকমতো কাজ না করলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আদালত কড়া ব্যবস্থা নেবে। সিটের অপসারিত তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসের বদলে এখনই কাউকে নিয়োগ করতে চান না বিচারপতি। এছাড়া টেটের অতিরিক্ত প্যানেল নিয়ে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আজ, বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়েই এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন যে এত কালক্ষেপ হচ্ছে কেন? বিচারপতি এও মন্তব্য করেন, সিবিআইআয়ের জন্য খুব খারাপ সময় আসছে।
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই একটি নিয়োগ মামলায় এক সিবিআই অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার পর্যবেক্ষেণে তিনি বলেন, এই দুর্নীতির তদন্ত যাতে সঠিকভাবে হয় তার জন্যই আদালত সিবিআইকে ভার দিয়েছে। কিন্তু তাঁর কথায়, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা তার মর্যাদা রাখতে পারছে না।
এদিন বিচারপতি এও বলেন যে সিবিআইকে সতর্ক করে যদি কোনও লাভ না হয়, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেবেন।
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্তের জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছে কিন্তু সঠিকভাবে কাজ করেনি। এই ধরণের মামলায় যে আদালত কোনও কালক্ষেপ বরদাস্ত করবে না, এও স্পষ্ট এদিন জানিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।