দার্জিলিংয়ে গিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ধরা দিলেন মমতা, বাচ্চাদের আদর করে তাদের হাতে চকোলেট তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

যখন তিনি বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখনও তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে সহজেই মিশে যেতে ভালোবাসতেন। আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও তাঁর সেই স্বভাবে কোনও পরিবর্তন আসেনি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সঙ্গেই অতি সহজে মিশে যাওয়া, সকলকে আপন করে নেওয়া তাঁর ধাতে। দার্জিলিংয়ে গিয়েও সেই একই রূপে ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বুধবার সকালে পাহাড়ি রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে এদিন কথা বলেন মমতা। বেলা হতেই দার্জিলিংয়ের একটি সবজি বাজারে যান তিনি। নানান সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সবজির দরদাম করতে দেখা যায় এদিন তাঁকে। একটি দোকানে লাল লঙ্কা দেখে বেশ রসিকতা করেই তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীদের বলেন, “এক লঙ্কা এক কেজি খেতে পারলে পুরস্কার দেব”।
এদিন রাস্তায় বাচ্চাদের আদর করতেও দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাচ্চাদের কোলে নিয়ে ছবিও তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছ থেকে পেয়ে সকলেই বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। একাধিকবার বাংলার নানান প্রান্তে এভাবেই মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। পাহাড়ি রাস্তায় বাচ্চাদের হাতে চকলেট তুলে দেন তিনি। বলেন, “আজ গুরু পূর্ণিমা। আমার কাছে আজই শিশু দিবস”।
দার্জিলিংয়ে চলার পথে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর থেকে যাওয়া একটি পরিবারের সঙ্গে। সেখানে তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে ছবিও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “জম্মু- কাশ্মীরের মানুষের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল”।
তিনদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে জিটিএ-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর তার আগে সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তারপর এরিচমন্ড হিল থেকে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার পথে একটি ফুচকার স্টল দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন। আর সেখানে দাঁড়িয়েই নিজের হাতে ফুচকা তৈরি করতে শুরু করেন। এরপর নিজের হাতে ফুচকা খাওয়ান সবাইকে।