ধনখড় এখন অতীত! ‘সব বিষয়ে সহযোগিতা করেন’, নতুন রাজ্যপালের ভূয়সী প্রশংসা মমতার, নবান্ন-রাজভবনের সম্পর্কে উন্নতি?

এবার যা মনে হচ্ছে নবান্ন (Nabanna) ও রাজভবনের (Raj Bhawan) মধ্যেকার শীতল সম্পর্কের ইতি হতে চলেছে। বাংলায় নতুন রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সম্পর্কে উন্নতি দেখা দিয়েছে। প্রাক্তন রাজ্যপালের মতো যে এই সম্পর্ক শীতল হবে না, সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে উপস্থিত থেকে সেই অনুষ্ঠানের সমস্ত কৃতিত্ব যেমন মুখ্যমন্ত্রীকেই দিয়েছিলেন রাজ্যপাল, তেমনই আবার এবার রাজ্যপালের প্রশংসা (praise) শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই রাজভবনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয় তাঁর। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”রাজ্যপালকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। উনি আমাদের সঙ্গে সব বিষয়ে খুব সহযোগিতা করে চলছেন। ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমায় জানিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান হয়ে যাবে। সামনে উৎসবের মরশুম। আমি তাই এসেছিলাম ওঁকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে। মেরি ক্রিসমাস টু অল অফ ইউ”।
মাস খানেক আগেই বাংলার রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন দক্ষিণ ভারতের প্রাক্তন আইএএস সিভি আনন্দ বোস। শপথ নেওয়ার দিনই বোঝা গিয়েছিল যে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠতে চলেছে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রেখেছেন তারা। দু’জনেই আশা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে সংবিধান ও প্রশাসন একত্রে ভালোভাবে কাজ করবে। আর আজ রাজভবনে গিয়েও সেই একই বার্তা দিলেন মমতা।
বলে রাখি, এর আগে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে একেবারেই বোঝাপড়া ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর। সমন্বয়ের অভাব ছিল দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যেই। শাসক দলের তরফে বারবার অভিযোগ করা হত যে রাজ্যপাল নাকি প্রশাসনের কাজে সাহায্য না করে রাজ্য সরকারের খুঁত খুঁজে বের করতেন খালি। এর জেরে নবান্ন-রাজভবনের সম্পর্কের মধ্যে শৈত্যভাব ছিল বৈ কী! তবে এবার সিভি আনন্দের সময়কালে সেই শৈত্যভাব কাটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।