‘সৎ সাহস থাকলে শিক্ষা সংক্রান্ত বিলটা পাশ করিয়ে দিন’, রাজ্যকে তুলোধোনা করায় রাজ্যপালকে পাল্টা জবাব মমতার

গতকাল, মঙ্গলবারই রাজ্যের হিংসা ও দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এর একদিনও কাটে নি এখনও। এবার রাজ্যপালকে পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বললেন মমতা?
ঝাড়গ্রামে সফরে গিয়েছেন মমতা। সেখানে আদিবাসী মঞ্চ থেকেই রাজ্যপালকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “আমরা কাজ করব। আর উনি সবকিছু আটকে দেবেন। এটা বরদাস্ত করব না”। এরপরই সরাসরি রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আপনার সৎসাহস থাকলে বিধানসভায়। শিক্ষা সংক্রান্ত যে বিলটা তৈরি হয়েছে, সেটা পাশ করিয়ে দিন। তা না করে আপনি ছাত্রছাত্রীদের রাজভবনে ডেকে বলবেন, দাঙ্গা কাকে বলে, দুর্নীতি কাকে বলে। এটা রাজ্যপালের কাজ”?
তাঁর কথায়, “ওনার কাজ সংবিধানে লেখা রয়েছে। তার বাইরে বেরিয়ে গায়ের জোরে যা খুশি করা যাবে না। তেমন মনে হলে বিজেপির হয়ে ইলেকশনে দাঁড়ান। জিতে এসে দেখান। তবে ১০০ বছরেও হবে না। কারণ, ততদিনে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে”।
সম্প্রতি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেছিল। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। এই বিষয়ে এদিন মমতা বলেন, “গর্ভনর মহাশয়. কালো চশমা পড়ে জ্ঞান দিয়ে বেরচ্ছেন। আপনি কালো চশমা পড়ুন, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন, যিনি কেরালায় আইপিএস ছিলেন। যার সঙ্গে শিক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের আপত্তিটা এখানেই”।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তি নিয়ে বারবার রাজ্যকে তোপ দেগে এসেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। হিংসা বন্ধে রাজভবনে পিস রুম চালু করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ফের এই হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। তবে অনেক দেরি হওয়ার আগে মানুষ চায় দুর্নীতি ও হিংসা শেষ হোক”। রাজনৈতিক মহলের মত, এদিন আদিবাসীদের মঞ্চ থেকেই রাজ্যপালের এই মন্তব্যেরই পাল্টা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।