‘গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বাংলায়, দিল্লি রয়েছে এই সবকিছুর পিছনে’, মালদার স্কুলে বন্দুকবাজ হানার ঘটনায় চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ, বুধবার মালদহ স্কুলে ঘটে যায় এক ভয়ানক ঘটনা। এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি স্কুলে ঢুকে পড়ে হাতে বন্দুক ও পেট্রোল বোমা নিয়ে। ভয়ে কাঁপতে থাকে পড়ুয়ারা। যদিও শেষমেশ এক পুলিশকর্মীর তৎপরতায় ধরাশায়ী হয় ওই ব্যক্তি। এবার ওই ঘটনায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন স্কুল চলাকালীনই ক্লাসে বন্দুক-বোমা হাতে ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ব্যক্তির নাম রাজু বল্লভ। তার দাবী, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। প্রশাসনে বারবার জানিয়ে চিঠি দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই পড়ুয়াদের পণবন্দি করার চেষ্টা করেন তিনি। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনায় নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে।
মমতার কথায়, “এর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র আছে। দিল্লির ষড়যন্ত্র। কারা এই কাজ করছে তা আমি বলব না। কিন্তু পণবন্দি করতে চাই, এই শব্দ শিখল কী করে”।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল অভিযুক্ত রাজু বল্লভ মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। কিন্ত সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে যারা ঘটায় তাদের মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাতেও পরোক্ষে বিজেপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন মমতা।
তিনি বলেন, “মালদার ঘটনা কীভাবে ঘটল? ধরা পড়লেই বলবে পাগল-ছাগলের কাজ। কিন্তু হস্টেজ যে করা যায়, এটা জানল কী করে? থ্যাঙ্ক গড আমাদের সকলে সুস্থ আছে”। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “পরিচয়পত্র ছাড়া কীভাবে ওই বন্দুকবাজ স্কুল চত্বরে ঢুকল”।
স্কুলগুলিকে সাবধান করার পরে ফের চক্রান্তের প্রসঙ্গে ফিরে এসে তিনি বলেন, “এখন এসব পরিকল্পনা চলবে। এত সহজভাবে সব কিছু নিলে চলবে না। একটা ফোনের মধ্যে দিয়েই এখন সারা বিশ্বে চক্রান্ত করা যায়”।
একইসঙ্গে পুলিশের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেছেন তিনি। মমতা এও বলেন, গ্রামের মানুষজন সহজ সরল হয়। তাঁরা হয়তো ভেবেছে কোনও অভিভাবক এসেছেন। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা আটকাতে স্কুলে বাইরে পাহারাদার বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।