‘ধনখড়ও এমন ছিলেন না’, রাজ্যপালের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন, সি ভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ মমতার

রাজভবন বনাম রাজ্যের সংঘাত বাংলায় নতুন কিছু নয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আমলে একাধিকবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। তবে সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথমের দিকে মনে হয়েছিল হয়ত রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত মিটল। কিন্তু কোথায় কী! সেই একই ছবি ফিরেছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে দুর্নীতি, উপাচার্য নিয়োগ নানা বিষয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে ফের সংঘাত শুরু রাজ্যের। এবার তো সরাসরি বর্তমান রাজ্যপালের সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সি ভি আনন্দ বোস সম্পর্কে কী বললেন মমতা?
একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্যপালকে একযোগে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একুশের নির্বাচনের পর থেকে তো কত দলই এল। কখনও বিজেপির টিম এসেছে, কখনও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এসেছে, আবার নতুন করে রাজ্যপাল মহাশয় নাকি দুর্নীতির ব্যাপারে স্পেশাল সেল করছেন। এটা কিন্তু, রাজ্যপালের কাজ নয়। উনি রাজ্যের অধিকারের বিষয়ে অহেতুক হস্তক্ষেপ করছেন”।
এদিন রাজ্যপালের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, “বাইরের থেকে লোক নিয়ে এসে এক্সপার্ট কমিটি তৈরি করছেন। কেন বাংলায় লোক নেই? আর এক্সপার্ট কমিটি তো বাংলার সরকার করবে। রাজ্যপাল কেন করবেন? ওনার কাজ তো আইনে বাঁধা রয়েছে। সংবিধান মেনে ওনার যে কাজ রয়েছে সেটা তিনি করবেন। কখনও উনি কেরলের একজনকে নিয়ে এসে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি করে দিয়েছেন। নিয়ম হচ্ছে আমরা তিনটি নাম পাঠাব। তারমধ্যে উনি একটা বাছবেন”।
ধনখড়কে নিয়ে কী বলেন মমতা?
এরপরই প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্যপাল বোসের তুলনা টেনে মমতার মন্তব্য, “ধনকড় যখন ছিলেন তখনও অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতাম না। ঝগড়া হয়েছে। উনি কিন্তু কোনওদিন এটা করেননি। এখন দেখছি মুখোশের আড়ালে যা বিজেপি বলছেন তাই করে দিচ্ছেন। রাজ্যপালকে দোষ দিই না। কেন্দ্রের ইশারায় এটা করছেন”।
মমতার এহেন মন্তব্যে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে
খুব স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের কারণে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে ছিলেন জগদীপ খনকড়। কোভিডের সময় থেকে শুরু করে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, বারবার রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত দেখেছে বাংলা। করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন ধনকড়। পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “গোটা দেশে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে সে রাজ্যের রাজ্যপাল এভাবে আক্রমণ করেননি”।