‘আমার বিষয় নয়, ওর কেস ওই-ই বুঝবে’, নুসরতের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে মন্তব্য মমতার, সাংসদের উপর আস্থা হারালেন মুখ্যমন্ত্রী?

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে বসিরহাটের সাংসদ হয়েছিলেন নুসরত জাহান। যদিও নিজের সংসদীয় এলাকায় সেভাবে তাঁকে দেখা যায়না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ প্রিয় পাত্রীই তিনি। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধেই বড় অঙ্কের টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফাই দিয়েছেন নুসরত। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগে কী বক্তব্য মমতার?
সাংবাদিকরা এদিন মমতাকে নুসরতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন, “আমি এ ব্যাপারে না জেনে কিছু বলব না। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। কিন্তু প্রমাণ হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে”।
তাঁর কথায়, অভিযোগের সত্যতা থাকলে আইন আইনের পথে চলবে। তিনি এও বলেন, “নুসরতের কেস নুসরত লড়বে। আইনজীবী আছে, তারাই বলতে পারবে”। তবে কী সাংসদের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন দলনেত্রী, এখন সেই প্রশ্নই উঠছে বারবার।
যে সংস্থা আর্থিক প্রতারণা করেছিল, নুসরত সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নুসরত নিজেও সেকথা স্বীকার করেছেন। সেই নিয়ে মমতা সরাসরি কিছু না বললেও তিনি বলেন, “নুসরত যদি ডিরেক্টর হয়েও থাকেন…এমন তো অনেক ডিরেক্টর আছেন”। মমতার কথায়, সংস্থায় অনেকেই চাকরি করেন, মালিক কিছু করলে কর্মীদের কিছু করার থাকে না।
এই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা
এই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপি সাংসদের সঙ্গে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির যোগ থাকার অভিযোগ তোলেন মমতা। নাম না করে তিনি বলেন, “কে একজন বলছিল ওদের একজন সাংসদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও ইডি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না”।
তাঁর সংযোজন “যাঁরা চিটফান্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, মালিকের সঙ্গে বিদেশে গিয়েছিলেন, সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেন ডাকা হয় না”?