লুকিয়ে থেকেও কোনও লাভ হল না, ওড়িশা থেকে পুলিশের জালে আটক এগরা বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ

এগরা বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এবার মিলল সাফল্য। ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হল খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ। এর আগে ভানু বাগের ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ ও ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগ। সূত্রের খবর, কটকের এক হাসপাতালে ভর্তি ভানু। পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাকে।
সূত্রের খবর, বাজি কারখানায় সেদিন বিস্ফোরণের পর অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই বাইকে চেপে চম্পট দিয়েছিলেন ভানু। পুলিশের সন্দেহ ছিল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীও একই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। গতকাল, বুধবার থেকেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে রাজ্য় পুলিশ ও সিআইডি তল্লাশি শুরু করে ভানুর।
পুলিশের টিম ওড়িশায় পৌঁছে যায়। গতকাল, বুধবারই ভানুর ছেলে ও ভাইপোকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ খবর পায় যে কটকের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ভানু বাগ। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ বিস্ফোরণে পুড়ে গিয়েছে। আপাতত তাঁকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। এগরার এসডিপিও মহম্মদ বদরুজ্জামান এই তথ্য জানান।
এগরায় এখন স্বজনহারাদের হাহাকার চলছে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। একাধিক গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। গ্রামবাসীদের মনে বাসা বেঁধেছে ক্ষোভ। বাজি ব্যবসায়ী ভানু বাগ তো বটেই, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। স্থানীয়দের কথায়, ভানু বাগ এলাকায় জুলুমবাজি চালাত। কারোর কথায়, ভানু বাগ নয়, তিনি গ্রামবাসীদের কাছে এলাকার ‘বাঘ’। কেউ আবার অভিযোগ করেছেন যে বাজি কারখানা তৈরির জমি জোর করে দখল করা হয়েছিল।
অন্যদিকে আবার কৃষ্ণপদ বাগের ভাইপোর স্ত্রীর দাবী, এখন স্থানীয়রা বিপদ বুঝে মিথ্যে বলছে। তাঁর কথায়, জমি কেড়ে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই জমি তাদেরই কেনা। এও শোনা যাচ্ছে যে খাদিকুল গ্রামের বাগবাড়িতেও এর আগে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু সেই অভিযোগও মিথ্যে বলে দাবী কৃষ্ণপদ বাগের ভাইপোর স্ত্রীর। যদিও বছর ১৫ আগে এক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ভানু বাগের ছোটো ভাইয়ের।