রাজ্য

কেষ্ট এখন তিহাড়ে, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে বড় ভাঙন শাসক শিবিরে, শতাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁর গড়ে উত্তাপ ক্রমেই চড়ছে। এমন আবহে কেষ্টর অনুপস্থিতিতেই বীরভূমের তৃণমূলে ঘটে গেল বড় ভাঙন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন শতাধিক নেতাকর্মী।

গতকাল, সোমবার ছিল এই দলবদলের পর্ব। এদিন বিজেপিতে যোগ দেন সিউড়ি-১ ব্লকের কড়িধ্যা এলাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এদের মধ্যে ছিলেন সিউড়ি-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব চট্টোপাধ্যায়, কড়িধ্যার প্রাক্তন উপপ্রধান উজ্জ্বল সিংহ, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আদিত্য চট্টরাজ, পঞ্চায়েত সদস্য জীবন সরকার, যুবনেতা শুভম সিং-সহ অন্যান্যরা। দলের জেলা দফতরে দলবদলকারীদের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা।

‘দাপুটে’ জেলা সভাপতি আপাতত নেই বীরভূমে। সেই কারণে দল পরিচালনার জন্য একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কোর কমিটি জেলায় দল চালানোর বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়। পর্যবেক্ষক হিসাবে রয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু অনুব্রত না থাকায় শাসকদলের দাপট যে সেখানে অনেকটাই কমেছে, একবাক্যে তা স্বীকার করে নিয়েছে বিরোধীরাও। প্রথমদিন থেকেই জেলায় মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করেছেন তারা।

এই দলবদল প্রসঙ্গে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের দাবী, তারা তৃণমূলে থেকে ঠিকমতো কাজ করতে পারছিলেন না। সেই কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই দলবদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

যদিও শাসকদল এই দলবদলকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের আবার পাল্টা দাবী, দলবদলুরা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এদের দলে নিয়ে বিজেপি আসলে দুর্নীতিকেই মদত দিল।

Back to top button
%d bloggers like this: