পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক ১০ বছরেরও বেশি, যৌথভাবে কিনেছেন একাধিক সম্পত্তি, খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক না থাকলে এমনটা হয় না, তদন্তে দাবী ইডি-র

প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময়ের সম্পর্ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) মধ্যে। তারা একসঙ্গে যৌথভাবে একাধিক সম্পত্তি কিনেছেন। খুব ঘনিষ্ঠ ও সুসম্পর্ক না থাকলে যৌথভাবে এমন সম্পত্তি কেনা যায় না। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam Case) তদন্ত করতে গিয়ে এমনটাই দাবী জানাল ইডি (Enforcement Directorate)।
গত শনিবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তিনটি বাড়ির খোঁজ মেলে। এর মধ্যে একটি বাড়ির নাম ‘অপা’। অনুমান করা হয় যে পার্থ ও অর্পিতার নামের আদ্যক্ষর দিয়েই এই বাড়ির নামকরণ হয়েছে।
গতকাল, সোমবার আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে সেখানে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান যে পার্থর কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলেও, তেমন সিরিয়াস কিছু নয়। পার্থকে ভর্তি রাখার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই জানান চিকিৎসক।
এরপর আজ, মঙ্গলবার পার্থকে ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতা আনা হয়। ইডির আধিকারিকরা তাঁকে নিয়ে যায় তাদের দফতরে সিজিও কমপ্লেক্সে। পার্থ ও অর্পিতাকে গতকাল, সোমবার আদালতে পেশ করে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। তাদের দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
West Bengal Minister & former Education Minister Partha Chatterjee arrives at Kolkata airport. He will be taken to the CGO complex after an ED custody was ordered for him till 3rd August. pic.twitter.com/K6NnJ3lBdK
— ANI (@ANI) July 26, 2022
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে ইডি জানায় যে এই মামলার পরতে পরতে রয়েছে নানান রহস্য। যত জট ছাড়বে, তত বেশি তথ্য বেরিয়ে আসবে। গতকাল। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির পক্ষে ভারচুয়ালি সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। আবেদনে তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যৌথভাবে সম্পত্তি কিনেছিলেন। ফলে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও সুসম্পর্ক স্পষ্ট। সুসম্পর্ক না থাকলে ২০১২ সালে দু’জন একসঙ্গে এভাবে সম্পত্তি কিনতে পারতেন না বলে দাবি তাঁর।
এর পাল্টা পার্থর আইনজীবী বলেন যে দু’জনের মধ্যে নিশ্চয় যোগাযোগ ছিল কিন্তু তা ফোনে। পার্থর জুনিয়রের কাছে কিছু সম্পত্তি থাকতেই পারে। কিন্তু তা যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই হতে হবে, তেমন কোনও মানে নেই। এদিন এজলাসে পার্থকে ভারচুয়ালি পেশ করা হয়। আর শুনানিতে সমস্ত সওয়াল-জবাবের পর পার্থ ও অর্পিতাকে আগামী ৩রা আগস্ট পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইডি।