আমজনতার সুরাহায় বার বার ফেল মমতার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড! দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে ফেরালো হাসপাতাল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও তুচ্ছ বাংলায়। চিকিৎসা ক্ষেত্রেই মূলত সাধারণ মানুষের সর্বাধিক ব্যয় হয়। ঝক্কিও পোহাতে হয় বিস্তর।
আর ভোটের মুখে বাংলার মানুষকে সেখান থেকেই মুক্তি দিতে জব্বর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অধীনে চালু করেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। কিন্তু বারবার রাজ্যজুড়ে সেই প্রকল্প ধাক্কা খেয়েছে। একাধিকবার বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড না নেওয়ার অভিযোগ।
এবার ফের হাসপাতালে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড না নেওয়ার। হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা আলাউদ্দিন খান (৫২)। বাইক দুর্ঘটনায় ভাঙে শরীরের দুটি হাড়। প্রথমে তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পর্যাপ্ত পরিষেবা না থাকায় কলকাতায় রেফার করা হয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ব্যক্তিকে।
বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতা আসেন ছেলে আকাশ খান। সঙ্গে ছিল স্বাস্থসাথী কার্ড। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অধীনে সেই কার্ড হাতে পেয়েছে খান পরিবার।
কিন্তু কলকাতার হাসপাতালে সেই কার্ড দেখানোয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানায়, কার্ড পরিষেবা সেখানে নেই। কেন নেই প্রশ্ন করাতেই শুরু হয় বাদানুবাদ।
হাসপাতাল কার্যত হুমকির সুরে জানায়, আলাউদ্দিনের কার্ড নাকি অবৈধ। কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় কথা না বাড়িয়ে তাঁকে নিয়ে গভীর রাতে আরামবাগ ফিরে যেতে বাধ্য হয় পরিবার। আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে আপাতত ভর্তি আলাউদ্দিন। তবে সেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় এখনও উপযুক্ত চিকিৎসাই শুরু হয়নি রোগীর। শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত রোগীর পরিবার।
এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বারংবার সতর্ক করার পরেও কেন পরিষেবা মিলছে না তা নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যে বা যাঁরা এই কার্ড নিতে অস্বীকার করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। তবে এই হুঁশিয়ারির পরও টনক নড়েনি।