আর নেই কোনও ‘ভয়’! ‘দুয়ারে সরকারের’ পর এবার ‘দুয়ারে পুলিশ’, দোরগোড়ায় গিয়ে পুলিশ শুনবে আমজনতার সমস্যার কথা

এবার দুয়ারে সরকারের মতোই ‘দুয়ারে পুলিশ’। জেলার পুলিশ কর্তারা এবার হাতের কাছেই। শুনবেন সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ। এমনই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হল জলপাইগুড়ি পুলিশের তরফে। পুলিশ কর্মীরাই বার্তা দিচ্ছেন যে সমস্যা নিয়ে যাতে সাধারণ মানুষ এলাকার পুলিশের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন।
গ্রাম হোক বা শহর, প্রতিদিনই নানান মানুষ নানান সমস্যার মুখোমুখি হন। প্রতিদিন কত অপরাধ ঘটে যায়। সবকিছুর রিপোর্ট হয় না পুলিশের খাতায়। অনেক সময় আবার অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও সমাধান হয় না। এবার আমজনতার সমস্যার কথা জানতে মানুষের দুয়ারে যাবে খোদ পুলিশ। এর জন্য প্রত্যেক আধিকারিকের জন্য নির্দিষ্ট দিন বরাদ্দ থাকবে। কথা বলে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা বুঝবেন তারা। অপরাধ হলে মানুষ যাতে মুখ খুলতে ‘ভয়’ না পান, সেইজন্যও পুলিশ অভয় দেবে সকলকে। যে সমস্যাগুলি পুলিশের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব, সেগুলি সমাধান করবে তারা।
গতকাল, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা নাগাদ মাল থানায় আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া। মাল থানার আইসির চেম্বারে বসে সরাসরি গ্রামীণ এলাকার মানুষের কথা শোনেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা, আইসি সুজিত লামা সহ আরও অনেক পুলিশ কর্তারা।
এদিন পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন তেসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি ওয়ারেসুল অম্বিয়া, তৃনমুল কংগ্রেস নেতা আব্দুল রেজ্জাক প্রধান ও আরও অনেকেই। এই বৈঠকেই তাঁরা নানান কেসের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, এলাকায় যুব সমাজের মধ্যে মা’দ’ক সমস্যার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কথা বলেন। সকলের সব কথা শোনেন পুলিশ সুপার ওয়াংডেন ভুটিয়া। শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাসও দেন তিনি।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রী ভুটিয়া বলেন, “বাস্তবে পুলিশের উচ্চ পদস্থ অফিসাররা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অনেক দূরে থাকেন। অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারেন না। তাই পুলিশের উচ্চ পদস্থ যেসব অফিসার আছেন যেমন এসপি, এএসপি, ডিএসপি পদাধিকারী আধিকারিকরা নির্দিষ্ট দিনে থানায় আসবেন মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন”।
পুলিশের এহেন উদ্যোগে বেশ খুশি সাধারণ মানুষ। সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন এই উদ্যোগকে। অন্যদিকে, পুলিশের নিচুতলার কর্মীরাও এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। আগামী দিনে গোটা জলপাইগুড়ি জেলাতেই এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।