রাজ্য

‘আমাদের রাজ্যে এমন ভোট দেখিনি’, বাংলার ভোটে হিংসা-অশান্তি দেখে ত্রস্ত পঞ্জাব থেকে আসা পুলিশ কর্মী

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে অশান্তি। খু’ন, গুলিগালা, বোমাবাজি, কিছুই বাদ যায়নি। আর এর মধ্যে সবথেকে বেশি সন্ত্রাস ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। বুধবার সকাল থেকে যেন শ্মশানে পরিণত হয়েছে ভাঙড়। ভোটে এমন অশান্তি অন্য কোনও রাজ্যে দেখা যায় কী না তাতে সন্দেহ রয়েছে। হিংসার এমন বীভৎসতা দেখে রীতিমতো ত্রস্ত ভিনরাজ্য থেকে এই রাজ্যে ভোটের কাজে আসা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

কী বলছেন পুলিশ কর্মীরা?

পাঞ্জাব পুলিশের প্রতিনিধিদের মোতায়েন করা হয়েছে ভাঙড়-কাশীপুর এলাকায়। গতকাল, মঙ্গলবার রাতে সেখানে যে ঘটনা ঘটে, তাতে তারাও অবাক। আজ, বুধবার সকালে শুনশান সোনপুর বাজারে পাহারারত পুলিশকর্মীরা বলেন, তাদের পাঞ্জাবে তারা ভোটের এমন ছবি দেখেননি।

এক পুলিশ কর্মী বলেন, “পাঞ্জাবে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হয়। অনেক সময় কিছু গণ্ডগোল হয়, তবে এত বেশি গণ্ডগোল হয় না। এখানে যে এমন হবে, তা নিশ্চয় আগে থেকেই জানা ছিল। সে কারণেই বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে”।

ভাঙড়বাসীদের কী বক্তব্য? 

ভাঙড়বাসীও এমন ভোট হোক, তা চান না। যে ভোটের জন্য রাস্তায় বেরতে ভয় লাগবে, যে ভোটের জন্য দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হবে মানুষকে, রুজি-রোজগার থমকে যাবে, তেমন ভোট হওয়ার দরকার কী, এমনই প্রশ্ন তুলছেন ভাঙড়ের মানুষ।

গতকাল, মঙ্গলবার ভোটের গণনার দিন রাতে একের পর এক বোমা পড়েছে ভাঙড়ে। পরপর গুলির শব্দে যেন এক নিদ্রাহীন আতঙ্কিত রাত কেটেছে ভাঙড়বাসীর। পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে নি। তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষের জেরে প্রাণ গিয়েছে তিন আইএসএফ কর্মীর। বুধবার সকালেও সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা।

Back to top button
%d bloggers like this: