WB Election 2021: “মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের চেষ্টা হলে ধোলাই-পেটাই হবে”, কাদাপাড়ায় বিজেপির রথ ভাঙচুর ঘটনায় তোপ রাহুলের

গতকালই নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। আর এদিনই রাতে কাদাপাড়ায় বিজেপি পরিবর্তন রথে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হয় রথের কাঁচ, করা হয় ভাঙচুর। হামলায় বাধা দিতে এলে নিরাপত্তারক্ষীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আজ এই ঘটনার পরিদর্শনে কাদাপাড়া যান প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।
এদিন রথ পরিদর্শনে এসে শাসকদলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন রাহুল সিনহা। তাঁর সাফ কথা, “মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হলে ধোলাই-পেটাই দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা ধোলাই-পেটাই দিতে চাই না। আমরা আইন হাতে নিতে চাই না”।
আরও পড়ুন- ফের বিজেপির পরিবর্তন রথে হামলা, ভাঙচুর! ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত কাদাপাড়া, সন্দেহ শাসকদলের দিকে
তিনি এও বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী যে বলেন খেলা হবে, তাহলে খেলা কী রাতে হবে? রাতের অন্ধকারে এভাবে রথের উপর হামলা করে খেলা হবে? তিনি চ্যালেঞ্জ করেন যে খেলতে হলে সামনে থেকে খেলুন। বিজেপি সামনে থেকে খেলতে বিশ্বাসী, এমনটাই বলেন তিনি।
তিনি এও বলেন যে এই ঘটনার নানান সিসিটিভি ফুটেজ ফুলবাগান থানায় জমা করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও যদি পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা থানা ঘেরাও আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন। এই সিসিটিভি ফুটেজ নির্বাচন কমিশনেও পাঠানো হবে বলে জানান রাহুল সিনহা।
গতকাল ভোট ঘোষণা হওয়ার পরই জানা যায় যে আগামী সপ্তাহেই ফের রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর ৭ই মার্চ ব্রিগেডে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কারণেই তৃণমূল আরও ভয় পেয়েছে বলে মনে করেন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, অমিত শাহ্’র কথা শুনলেই তৃণমূলের হাড়ে-মজ্জায় কাঁপুনি ধরে যায়। রাহুল সিনহার দাবী, বিজেপি রথের উপর এই হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য। তাঁর মতে, তৃণমূল চায় মানুষ যাতে ভয় পায়। মানুষ ভয় পেলে ভোট দিতে যাবে না। আর ভোট না দিকেই তৃণমূলের সুবিধা বলে মনে করেন রাহুল সিনহা।
আরও পড়ুন- “আইনশৃঙ্খলা কী রাজ্যের দায়িত্ব নয়”, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ রাজনাথের
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষার প্রয়োগ নিয়েও তাঁকে আক্রমণ শানান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের অশালীন নামে ডেকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে মানুষের চেহারা নিয়ে কদর্য উক্তি তিনি করেছেন, তাতে রাজ্যের রাজনীতির পরিবেশ নোংরা করছেন তিনি। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। বাংলার ভাষা মধুর। সেই ভাষার অপমান করছেন তিনি”।