অবশেষে স্বস্তি! ঝেঁপে বৃষ্টি নামছে দক্ষিণবঙ্গে, লাগাতার বৃষ্টি থেকে রেহাই পাবেন উত্তরবঙ্গের মানুষ, খুশির খবর দুই বঙ্গের জন্যই

প্রায় একমাস হতে চলল বঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুষলধারে বৃষ্টির দেখা পায়নি দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। উল্টে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ও রোদের জেরে ঘেমেনেয়ে একসার হতে হয়েছে মানুষকে। অন্যদিকে আবার উত্তরবঙ্গের চিত্রটা একেবারে উল্টো। সেখানে লাগাতার বৃষ্টির জেরে নানান জায়গায় ধস নেমে গ্রামে-শহরে জল ঢুকে পড়ে। তবে এবার দুই বঙ্গের জন্যই স্বস্তির খবর দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। একদিকে যেমন দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ, তেমনই আবার উত্তরবঙ্গে একটানা বৃষ্টি থেকে রেহাই পাবে মানুষ।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ, শনিবার থেকেই উত্তরবঙ্গে জেলায় বৃষ্টি কমবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামীকাল থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে।
তবে একেবারে থেমে যাবে না বৃষ্টি। বন্যার সতর্কতা এখনও জারি থাকছে। নদীগুলির জলস্তর বেড়ে থাকার কারণে নিচু এলাকায় বন্যা এবং ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ি রাস্তায় দৃশ্যমান্যতা কমতে পারে। ধসের কারণে পার্বত্য এলাকাগুলিতে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গে আবার শনিবার থেকেই বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। উপকূলের জেলাগুলিতে সপ্তাহান্তেই বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগণায়। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
শনি ও রবিবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এই দুদিন আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
আজ, শনিবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল, শুক্রবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৮ থেকে ৯০%। গত ২৪ ঘণ্টায় ২.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।