ছেলের অপূর্ণ কাজ শেষ করতে, খুনিদের শাস্তি দিতে ভোটে লড়ছি, প্রতিক্রিয়া জানালেন মনীশ শুক্লার বাবা

তিনি পেশায় চিকিৎসক। রাজনীতির সঙ্গে ছেলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকলেও তিনি কখনই এইসব ক্ষেত্রে জড়াননি। ছেলে নিহত মনীশ শুক্লা ছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং-এর ডান হাত।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়াই করবেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমনী শুক্লা । নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের এই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এই চিকিৎসক জানালেন, রাজনীতি আমার পেশা নয়, আমি একজন চিকিৎসক, হতভাগ্য পিতা । আমার রাজনীতিতে আসার প্রথম কারন ছেলের খুনিদের শাস্তির ব্যবস্থা করা । আমি মনীশের অপূর্ন কাজ সম্পন্ন করতে চাই । ব্যারাকপুরে শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের পাশে থাকতে চাই ।”
আরও পড়ুন – জায়গা বদল! সরলেন পায়েল, ঢুকলেন শোভন, নজরে বেহালা পূর্ব
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৪ঠা অক্টোবর একদল দুষ্কৃতী টিটাগড় থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন অবস্থায় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই বিজেপি নেতার। এই ঘটনার পরই উতপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ব্যারাকপুর টিটাগড় এলাকা। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয় দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা। ইতিমধ্যেই মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনার তদন্ত করে সি আই ডি।এই খুনের ঘটনায় প্রেপ্তার ও করা হয়েছে ১০জন দুষ্কৃতীকে।
আরও পড়ুন – আশঙ্কা সত্যি! তালিকা প্রকাশ হতেই অসন্তোষের ছায়া বিজেপির অন্দরে, রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জলপাইগুড়ি
উল্লেখ্য, মনীশের মৃত্যুর পর থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে দেখাও করে গেছেন বেশ কয়েকবার। তারপর থেকেই বিজেপির টিকিটে মণীশ শুক্লার বাবা বিধানসভা নির্বাচনে দাড়াতে পারেন বলে জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে । বৃহস্পতিবার মৃত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমনি শুক্লার নাম ঘোষনা হতেই মণীশ শুক্লা অনুগামীরা ভিড় করতে থাকেন মণীশ শুক্লার বাড়িতে। এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। এদিন প্রার্থী ঘোষনা হওয়ার পর ব্যারাকপুরের বিজেপির স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী চিকিৎসক চন্দ্রমনি শুক্লা বলেন, “আমি ডাক্তার মানুষ আমার কাজ মানুষের চিকিৎসা করা । কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি রাজনীতিতে আসতে।আমার রাজনীতিতে আসার কয়েকটি উদ্দেশ্য আছে।”