‘বিবেকানন্দই নবরূপে মোদীজি হয়ে ফিরে এসেছেন’, স্বামীজির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তুলনা টেনে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ

গত বছর তৃণমূল সাংসদ নির্মল মাজি (Nirmal Maji) মা সারদার (Maa Sarada) সঙ্গে তুলনা টেনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেছিলেন মমতাই নাকি মা সারদার পুনর্জন্ম। তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল ঢের। এবার এই একই কাজ করে বসলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও (Saumitra Khan)। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) স্বামীজির সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি সাংসদ। এই নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে দেরি করেনি তৃণমূলও।
আজ, বৃহস্পতিবার গোটা দেশে পালিত হচ্ছে যুব সম্প্রদায়ের আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী তথা যুব দিবস। এদিন বিষ্ণুপুরে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব স্বামীজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দ নবরূপে ফিরে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী হিসেবে। কারণ যেভাবে স্বামীজি দেশের কাজ করতেন আর আজ দেশসেবায় মোদী যেভাবে নিয়োজিত, তাতে আমার মনে হয়েছে, উনিই আজকের স্বামীজি”।
বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে রাণাঘাটের এক সভা থেকে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও বেফাঁস মন্তব্য করে নরেন্দ্র মোদীকে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। দলের নেতার সেই মন্তব্যের দায় নেয়নি স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহ বলেন, “আমাদের সাংসদ বলেছেন। তাই এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই”।
তবে নির্মল মাজি যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা সারদার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, সেই সময় তাঁর সেই মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবারও বিজেপি নেতার এমন মন্তব্যে ছেড়ে কথা বলে নি তৃণমূল নেতৃত্বও।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ”আজই বিজেপির একগুচ্ছ বিধায়ক আমাদের দলে নাম লেখানোর জন্য লাইন দিয়েছেন। তা দেখেই বিজেপির এই সাংসদের মাথা খারাপ হয়েছে। সেই কারণেই যুগপুরুষ বিবেকানন্দের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে এক আসনে বসিয়েছেন এই সাংসদ”।
আবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “গবেষকরা এই সুযোগ ছাড়বেন না। ওঁর মস্তিষ্কের ধূসর জায়গার এমআরআই করা উচিত”।