রাজ্য

ক্যানসার আক্রান্তের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইলেন প্রধান শিক্ষক

ক্যানসার আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। একথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইলেন ওই প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান তিনি তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এক তৃণমূল নেতার দাদাগিরির জন্যই তাঁর বেতন বন্ধ করেছে ম্যানেজিং কমিটি, এমনটাই জানান তিনি। প্রধান শিক্ষক জানান যে বেতন বন্ধ হওয়ার জেরে পরিবারের ঠিকমতো অন্নসংস্থান করতে পারছেন না তিনি।

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

ইংরেজ বাজার পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা সুব্রত কুমার রায়। তিনি এমবি দুর্লভপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তিনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্তোষ ঋষি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সুব্রত রায়কে স্কুল থেকে সরানোর চেষ্টা করেছেন। বারবার তাঁকে উত্যক্ত, অপদস্ত ও অপমান করেছেন। এমনকি, নিজের ঘনিষ্ঠ একজন শিক্ষককে জোর করে টিআইসি করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। সেই সময়েই ক্যানসারে আক্রান্ত হন সুব্রত রায়। তিনি জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটিকে চিঠি দিয়ে জানান যে তিনি স্কুলে যেতে পারবেন না। মেডিক্যাল রিপোর্টও জমা দেন। কিন্তু পরে একটি কাজে স্কুলে গেলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। এমনকি ওই তৃণমূল নেতার প্ররোচনায় তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এরপর অসুস্থ শরীরে ফের নতুন করে ম্যানেজিং কমিটিতে চিঠি দেন সুব্রত রায়। কিন্তু অভিযোগ, সেই চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল নেতা সন্তোষ। এমনকি, তাঁকে চুড়ান্ত হেনস্থা করে ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর নিজের ইচ্ছামতো রেজুলেশন পাশ করিয়ে বেতন বন্ধ করা হয় প্রধান শিক্ষকের।

এই গোটা বিষয়টি শিক্ষা দফতরের ডিআই এবং মালদহের জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানান সুব্রত রায়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয় না। সেই কারণে এবার স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেন ওই প্রধান শিক্ষক।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সন্তোষ ঋষি। তাঁর কথায়, “বেতন বন্ধ আমাদের ব্যাপার নয়। পর্ষদ থেকে হয়েছে। ওনাকে হেনস্থা করা হয়নি। সবটাই মিথ্য়া অভিযোগ। আমি উল্টে ওনার শরীরের খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। তখন উনিই অভ্যবতা করেছেন”।

Back to top button
%d bloggers like this: