চাকরির খোঁজ নেই রাজ্যে, ঘাস কাটা, সাপ ধরার মতো অস্থায়ী চাকরির জন্য আবেদন হাজার হাজার স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এসএসসি পাশ তরুণ-তরুণীর

ভাবতেও অবাক লাগে। ঘাস কাটা, সাপ ধরা যে সমস্ত অস্থায়ী চাকরি পদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা হল অষ্টম শ্রেণী পাশ। সেই চাকরির জন্য আবেদনপত্র জমা পড়ল স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমনকি এসএসসি পাশ করা হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর। একটা-দুটো জেলা নয়, গোটা রাজ্যেই দেখা গেল এমন ছবি।
এমন আবেদন দেখে বন দফতরের কর্তারাই স্তম্ভিত। উপযুক্ত চাকরির অভাব ও বেকারত্ব রাজ্যে ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা এমন আবেদন না দেখলে বোঝাই যেত না।
জানা গিয়েছে, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে মোট ৪৩৫টি পদে নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে ৬০টি পদে নিয়োগ হবে। গতকাল, সোমবার ছিল আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৬০টি পদের জন্য রবিবার পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কর্তাদের মতে, এই সংখ্যা আরও বাড়বে। তিন দিনের মধ্যে কম্পিউটারে ডেটা এন্ট্রি করে আবেদনকারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
গতকাল, সোমবার আবেদন পত্র জমা দিতে আসা এক স্নাতকোত্তর পাশ যুবক জানান, “চাকরির অনেক পরীক্ষাই এখন বন্ধ। অনেক পদে আবার পরিচিতি ছাড়া চাকরি মেলে না। আবার পরীক্ষায় পাশ করলেও নিয়োগ পেতে পেতে বছরের পর বছর কেটে যায়। ফলে কাজ নিয়ে বাছাবাছির জায়গা আর নেই”।
মালদহ ও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বন সহায়ক দফতরে ৬০টি পদের জন্য প্রায় ৫০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে খবর। মালদহে ৩২ হাজার ও রায়গঞ্জ আর বালুরঘাট মিলিয়ে জমা পড়েছে ১৮ হাজার আবেদন পত্র। সেখানে আবেদন করেছেন প্রচুর স্নাতক, স্নাতকোত্তর তরুণ-তরুণীরা।
জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারেও অনেক বন সহায়ক পদে নিয়োগ করা হবে। জলপাইগুড়ি বন বিভাগে শূন্যপদ ১৫০, আলিপুরদুয়ারে ১৭৫। এই দুই জেলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের একটা বড় অংশ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বলে খবর। জলপাইগুড়ির ডিএফও বিকাশ বিজয় সে কথা স্বীকার করে বলেন, “এদিন বিকেল পর্যন্ত অন্তত ৩০ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে”।