মনোনয়ন পেশের মধ্যেই বড় ধাক্কা ঘাসফুল শিবিরে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরামবাগে তৃণমূল ছাড়লেন জেলা সভাপতি, বারাসাত-মুর্শিদাবাদেও একই ছবি

আগামী মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। কিন্তু এরই মধ্যে ভাঙন দেখা গেল তৃণমূলে। হুগলি থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগণায় ঘাসফুল শিবির ছাড়লেন নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ছবি শাসকদলকে অস্বস্তি ফেললেও তৃণমূল নেতৃত্বের অন্তত দাবী, এমন ঘটনা দলে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
গতকাল, শনিবার ফেসবুকে পোস্ট করে পদ ছাড়েন আরামবাগ সাংগঠনিক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। শুধু পদ নয়, দলত্যাগও করেছেন মাহমুদুল করিম ওরফে পাপ্পু। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এরপর থেকে দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন এই সিদ্ধান্ত সেই বিষয়টা পরিষ্কার নয়।
অন্যদিকে, তৃণমূল ছাড়লেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক বিপ্লব। তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দল ছাড়ার পর তিনি বলেন, “তৃণমূলে কোনও দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে সমগ্র দলটা। দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে কংগ্রেসে ফিরে এলাম”।
তবে এই দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলে চেয়ারম্যান বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপ্লবকে অনেক আগে দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। উনি জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাইপো হওয়ায় আমরা তাঁকে দলে গুরুত্ব দিয়ে চলছিলাম। ওর দলত্যাগে কোনও ক্ষতি হবে না”।
আবার উত্তর ২৪ পরগনাতেও একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী দল ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। গতকাল, শনিবার বারাসাতে কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বরা তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এদিন এই যোগদানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক সজল দে, সহ-সভাপতি আবদুল সাত্তার, জেলা সভাপতি অমিত মজুমদার-সহ অন্যান্যরা।
এই যোগদান প্রসঙ্গে সজল দে বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন ১০০ জনের বেশি নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তাঁদের বেশিরভাগই হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের বাঁশপুল এলাকার। যোগদানকারীদের মধ্যে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ পাইক, প্রাক্তন প্রধান, উপ-প্রধান রয়েছেন”।