মুকুলের পর এবার সোনালি! বিজেপিতে ফেরার জন্য আর্জি, ‘দিদি ডাকলেও আর যাব না’, বললেন মমতার একসময়ের ছায়াসঙ্গী

মুকুল রায়কে নিয়ে এখন বিড়ম্বনা কাটে নি তৃণমূলের মধ্যে। আর এমন আবহে এবার বিজেপিতে ফিরতে চান বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আর্জি জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ। সূত্রের খবর, বিজেপি জেলা সভাপতি সজল ঘোষের মাধ্যমে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
গতকাল, শুক্রবার কলকাতায় সুকান্তবাবুর সঙ্গে দেখা করেন সোনালি গুহ। সূত্রের খবর, সুকান্তবাবুকে তিনি জানিয়েছেন পারিবারিক কারণে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারেননি। এবার সক্রিয় হতে চান তিনি। সুকান্তবাবু তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, দল প্রয়োজন মতো আপনাকে সুযোগ দেবে।
সুকান্তবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোনালি গুহ বলেন, “আমার আর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নেই। হাত জোড় করছি। আমি ২ বছর অপেক্ষায় ছিলাম। আমি আর তৃণমূলে ফিরব না। তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বকে নমস্কার জানাই। দিদি ডাকলেও আর যাব না। দিদিকে আমার অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা”।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে সোনালি গুহ নামটাও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মমতার ছায়াসঙ্গী বলা হত তাঁকে। তৃণমূল তৈরি হওয়ার শুরুর থেকেই ‘দিদি’র সঙ্গে ছিলেন সোনালি। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ঘটে ছন্দপতন। সোনালিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর জেরে অভিমান করে রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
তব বিজেপিতে যোগ দিয়েও সেভাবে ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে নি তাঁর। সেভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বেশ কিছু মাস পর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে মমতাকে চিঠি সেন সোনালি। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি। তৃণমূলের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি সোনালির সঙ্গে। ফলে রাজনীতি থেকে দূরেই সরে গিয়েছিলেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে খবর, একুশের নির্বাচনের আগে দলে যোগদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বেশ কিছুটা শিথিল করে দেওয়া হয়েছিল। আর এর ফলও ভুগতে হয়েছে দলকে। সেই কারণে এবার ছেঁকে ছেঁকে লোক নেওয়া হচ্ছে দলে। এক্ষেত্রে প্রবীণ রাজনীতিক সোনালি গুহ যদি বিজেপিতে ফিরতে চান, তাহলে অসুবিধার কিছু নেই, তবে এখনই কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে না তাঁকে, সেকথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হ্যছে দলের তরফে।