‘২০২৪-এ মমতা প্রধানমন্ত্রী হবেন আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক’, ভবিষ্যৎবাণী করে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

মুর্শিদাবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে জনজোয়ার দেখা গিয়েছে। আর তা দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত দলের সকলেই। তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি তো এখন থেকেই ভবিষ্যৎবাণী করে দিলেন। জানিয়েই দিলেন, “২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”। যদিও এর পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি বিজেপি।
মুর্শিদাবাদ জেলাতেই অভিষেকের সভায় জনতার ঢল দেখা যায়। তৃণমূল কর্মীরা অভিষেককে ফুল, শাল, উত্তরীয়, গামছা, মোমেন্টো দিয়ে বরণ করে নেন অভিষেককে। একটি মোমেন্টো সাংসদ অভিষেকের হাতে তুলে দেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়। অভিষেককে একটি শাল উপহার দেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও সাংসদ খলিলুর রহমান। সকলকে অবাক করে দিয়ে একটি গামছা গলায় পরিয়ে দিতে দেখা যায় ভগবানগোলা বিধানসভার বিধায়ক ইদ্রিস আলিকে।
এদিন জনজোয়ারের কারণে বিধায়ক ইদ্রিস আলি-সহ অনেকেই রাস্তায় পড়ে যান। মুর্শিদাবাদে অভিষেক পৌঁছনোর পর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। সকলে অভিষেককে দেখতে ব্যস্ত।
এদিন বিধায়ক ইদ্রিস আলি বলেন, “৩৬ বছরের একজন যুবক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয়তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও নেই”। তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয় এ বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই ২০২৪ সালে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”।
তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “শাসকদল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন লোক কীভাবে হয় তা সকলের জানা। ২০১১ সালে সিপিআইএমের ব্রিগেড দেখে কেউ বুঝতে পারেনি এই দলটা হারতে চলেছে। তাই মানুষকে বোকা মনে করার কোনও কারণ নেই”।
এদিনের এই কর্মসূচিতে অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কলকাতা পৌরসভার মেয়র ও পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, মন্ত্রী আখরুজ্জামান,বিধায়ক অপূর্ব সরকার, বিধায়ক অসিত মার্জিত, বিধায়ক হুমায়ুন কবির, বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম, বিধায়ক মনিরুল ইসলাম-সহ অন্যরা।