‘অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যদি কেউ হাত দেয়…’, বোলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়েই বিশ্বভারতীকে হুঁশিয়ারি মমতার

জমিজট নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অমর্ত্য সেনের সংঘাত এখনও চলছে। এই বিষয়ে প্রথম থেকেই নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সফর থেকে ফেরার পথে বোলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়েই অমর্ত্য সেনের হয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
গতকাল, শুক্রবার বিকেল ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ বোলপুর স্টেশনে দাঁড়ায় কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেশনে দাঁড়িয়েই দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়েই অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেনের বাড়িতে হাত দিলে আমাকে তো চেনে না”।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে বীরভূম জেলা সফরে গিয়ে শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময়েই অমর্ত্য সেনের হাতে তাঁর জমির দলিল সংক্রান্ত নথিপত্র তুলে দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে বিশ্বভারতী যেখানে নিজেই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিনা পয়সায় জমি পেয়েছে, সেখানে তারা অন্যের জমিকে নিজের জমি হিসেবে কীভাবে দাবী করছে?
বিতর্ক সেখানে আটকে থাকে নি। অমর্ত্য সেনকে নোটিশ পাঠায় বিশ্বভারতী। সেই নোটিশে লেখা ছিল, “১৫ দিনের মধ্যে বিশ্বভারতীর জমি ছেড়ে দিতে হবে’। আজ, ৬ মে সেই ১৫ দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই কারণে ৬ ও ৭ মে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির নির্দেশ দেন মমতা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
এই বিষয়ে বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “আমরা দিদির সাথে দেখা করলাম। তিনি অবস্থান বিক্ষোভ হওয়ার কথা বললেন। অমর্ত্য সেনের পাশে থাকতে তা সুষ্ঠ ভাবে করতে বলেছেন। এছাড়াও দলেরও খোঁজ খবরও নেন”।
গতকাল মমতার সঙ্গে স্টেশনেই সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তারা। প্রায় ১২ মিনিট কথাবার্তা চলে। এদিন স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা ও জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ সুপারের হাতে উপহারও তুলে দেন। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে মালদহের আম উপহার দেন মমতা।