রাজ্য

রামনবমী থেকে শিক্ষা! হনুমান জয়ন্তীতে সতর্কতা বাড়াতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাজ্য সরকারের

হাইকোর্টের নির্দেশই কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার (state government)। রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলের জেরে হাওড়া বা রিষড়ায় যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যাতে হনুমান জয়ন্তীতেও (Hanuman Jayanti) না হয়, সেই কারণে রাজ্যের তিন জায়গায় তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) মোতায়েন করল রাজ্য সরকার।

রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে চলতে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাওড়া, ব্যারকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও চন্দননগরে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে আদালতের নির্দেশ মেনে বাংলায় পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকাল, বুধবার রাতেই কামারহাটি, চুঁচুড়াতে রুট মার্চ করেছে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী।

জানা যাচ্ছে, কলকাতা শহরে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে পাঁচ থেকে ছ’টি শোভাযাত্রা হবে। হাওড়ার দিক থেকে এসে বড় বাজার ও পোস্তায় শেষ হবে দুটি শোভাযাত্রা। এর মধ্যে একটি শোভাযাত্রা বেরোবে ভূতনাথ মন্দির থেকে। আর অন্যটি বেরোবে পোর্ট এলাকা থেকে।

এই প্রত্যেকটি শোভাযাত্রায় এসি পদমর্যাদার অফিসাররা থাকবেন বলে খবর। অন্যদিকে, বন্দর এলাকার শোভাযাত্রায় ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা থাকবেন। অতিরিক্ত প্রায় ১ হাজার ফোর্স থাকবে রাস্তায়। গতকাল রাত থেকে আধা সামরিক বাহিনী রাজ্যের নানান প্রান্তে টহল দিয়েছে। মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার সকালেই হুগলির মগরাতে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হুগলি জেলার সবথেকে হনুমান জয়ন্তী হয় বাঁশবেড়িয়ার কলাবাজার এলাকায়। সেখানে হনুমান পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানকার এক বাসিন্দার কথায়, “হুগলি জেলার প্রশাসনের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা মেনে শোভা যাত্রা বের করব। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা র‌্যালি চলবে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার ফলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। পরশু দিন থেকে পুলিশ এই এলাকায় রুট মার্চ করেছেন। সেটা আমরা দেখেছি। আমরাও ছিলাম”।

অন্যদিকে আবার হাওড়ার কিছু এলাকা থেকেও হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা বেরোনোর খবর রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল হাওড়ার গুলমোহর থেকে রামসীতা মন্দির পর্যন্ত শোভাযাত্রা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ফলত এই এলাকায় যে অতিরিক্ত নজরদারি থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে এই এলাকায়।

Back to top button
%d bloggers like this: