‘লাল ঝাণ্ডা মুছে দেওয়ার ক্ষমতা মোদী-মমতার নেই’, হুঙ্কার সুজন চক্রবর্তীর, একযোগে কটাক্ষ তৃণমূল-বিজেপিকে

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। ভোটের ময়দানে লড়তে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। লাল ঝাণ্ডা হাতে তৈরি সিপিএম (CPM) জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বও। গতকাল, বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে (Contais) একটি কর্মসূচি করে সিপিএম। এদিন দেশপ্রাণ নামালডিহা থেকে শুনিয়া নেতাজি মোড় পর্যন্ত মিছিল করে তারা। এদিনের এই কর্মসূচিতে অংশ নেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty), হিমাংশু দাস (Himangshu Das), জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি (Niranjan Sihi), অনাদি সাহু ও আরও অনেকে।
এদিনের এই কর্মসূচি থেকে শাসক দলকে আক্রমণ শানান সুজন চক্রবর্তী। এর পাশাপাশি কটাক্ষ করেন বিরোধী শিবির বিজেপিকেও। বলেন, “দিদির সুরক্ষা কবচের দূত হয়ে তৃণমূল নেতারা এলাকায় গেলে তাড়া খাচ্ছেন। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় রাজ্যের সব জায়গায় এক পরিস্থিতি। অপেক্ষা করুন তৃণমূল নেতারা, আর তৃণমূল থেকে যাওয়া বিজেপি নেতারা মানুষের কাছে ঘাড় ধাক্কা খাবে। লাল ঝান্ডা মুছে দেওয়ার ক্ষমতা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়নি”।
সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পাল্টা দেন যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। বামেদের ভোট তলানিতে ঠেকে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বামেদের ভোট ধীরে ধীরে যে বিজেপির দিকে যাচ্ছে, সুজন চক্রবর্তী যেন সেদিকে নজর দেন ও ভোট পুনরুদ্ধার করেন।
সুপ্রকাশ গিরির কথায়, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখেছি, তারা তলায় তলায় বিজেপিকে মদত করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা থেকে পর্যুদস্ত করার চক্রান্তে তাঁরাও সামিল ছিলেন। তাদের ভোট শতাংশ এক বছরের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল লাল বাহিনী”। এদিন বামেদের ৩৪ বছরের শাসনকালে রাজ্যের পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা নিয়েও কটাক্ষ করেন সুপ্রকাশ গিরি।
অন্যদিকে আবার সুজন চক্রবর্তীর এহেন মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অসীম মিশ্রও সিপিএমকে জীবাশ্মের সঙ্গে তুলনা ্ক্রেন। তাঁর কথায়, “রাজ্য রাজনীতিতে জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া একটি রাজনৈতিক দলকে জল ছিটিয়ে শাসক দলের লোকেরা বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ওদের চেহারা, ওদের স্বরূপ মানুষ জানে”।