‘বিজেপির জয়ের সমস্ত সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর কলকাতায়’, ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বেশ আশাবাদী সুকান্ত মজুমদার

১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সকলকে চমকে দিয়ে রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তবে ১৮-তে আর সন্তুষ্ট হওয়া যাচ্ছে না। এবার আরও বেশি আসন পেতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবির। আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ করতে হবে আর তার জন্য বুথস্তরে শক্তি বাড়াতে হবে বলে গত শুক্রবারের এক দলীয় বৈঠকে নির্দেশ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেত শুভেন্দু অধিকারী। এবার উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিনের এই বৈঠকে সুকান্ত স্পষ্ট বার্তা দেন যে উত্তর কলকাতায় জেতার জন্য কী কী করতে হবে। তিনি বলেন, “এই কেন্দ্রে জিততে হবে এবং এখন থেকে তার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মত কি বাত অনুষ্ঠান সব বুথে দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে”। এখন থেকেই বুক কমিটি করে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিনের রবিবাসরীয় ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সজল ঘোষ, উওর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ সহ অন্যান্য নেতারা। সূত্রের খবর, সুকান্ত মজুমদার বৈঠকে জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রে তাঁদের জয়ের সব সম্ভাবনা রয়েছে।
বলে রাখি, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে একপ্রস্থ দলবদল হয়। গেরুয়া পালে হাওয়া লাগে। এর জেরে লোকসভা নির্বাচনে আশাতীত ফল করে পদ্ম শিবির। সেই রেশ জিইয়ে ছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত। নির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িক দেখেছিল রাজ্য। কিন্তু ফলাফলের পর পতন শুরু হয় বিজেপির। তার প্রভাব পড়ে পুরভোটে।
এবার আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঘাঁটি শক্ত করার প্রধান উপায় হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেদিকেই জোর দিচ্ছে বিজেপি। গত শুক্রবার ব্যান্ডেলের বৈঠকেও শুভেন্দু অধিকারী সেই বার্তা দেন। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত যদি জিততে চাই, লোকসভায় ১৮-কে যদি ২৫-এ নিয়ে চাই… তাহলে মণ্ডল এবং বুথস্তরে শক্তি বাড়াতে হবে”। এখন দেখার বিজেপির এই প্রস্তুতি শেষ পর্যন্ত লোকসভার ভোটে কতটা ছাপ ফেলতে পারে।
প্রসঙ্গত, আপাতত উত্তর কলকাতা তৃণমূলের দখলে। সাংসদ হলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে হাওয়া নিজেদের দিকে ঘোরাতে বেশ বেগ পেতে হবে বিজেপিকে। কারণ উত্তর কলকাতার কোনও আসনই বিজেপির নেই। তা সত্ত্বেও বিজেপির সভাপতি উত্তর কলকাতা জয়ের আশা কীভাবে রাখছেন বা সেই আশা কীভাবে পূরণ হয়, এখন সেটাই দেখার।