রাজ্য

BREAKING: যারা নন্দীগ্রামের প্রতি সহানুভূতি দেখায়নি, তাদের নন্দীগ্রাম দিবস পালনের অধিকার নেই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া এসেছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম থেকেই। এই দুই জায়গার আন্দোলনের উপর ভর করেই ২০১১ সালে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে নতুন সরকার গড়েছিল। এবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রে রয়েছে ফের নন্দীগ্রাম।

তৃণমূলে থাকাকালীন নন্দীগ্রামের সমস্ত ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব ছিল  শুভেন্দু অধিকারীর উপর। তবে সেই শুভেন্দুই আজ বিজেপিতে। এর জেরে নন্দীগ্রাম নিয়ে শুরু হয়েছে জমি দখলের খেলা। দল বদলের আগেই শুভেন্দু তাঁর তৎকালীন দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে, নির্বাচনের সময়ই শুধু কেন শাসকদলের নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে? সারাবছর তিনি সেখানকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন কিন্তু, ভোট হয়ে গেলে, দলের অন্যান্যরা এমনকি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নন্দীগ্রামের খোঁজ নেন না।

শুভেন্দুর এই কথার জবাব দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। শুভেন্দু এর আগে মমতার দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন যে তিনি মাননীয়াকে ৫০ হাজার ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে হারাবেন। সেই অনুযায়ী, বিজেপির পক্ষ থেক শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এবার লড়াই হবে সেয়ানে-সেয়ানে।

আজ নন্দীগ্রামি দিবস পালনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে। সেখানে শুভেন্দুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, আজ কিছুক্ষণ আগেই নন্দীগ্রাম দিব্বস উপলক্ষ্যে শহিদদের প্রতি সম্মান জানান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন তিনি।

এদিন নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, “ইতিহাসের পাতায় সিঙ্গুর আছে, কিন্তু নন্দীগ্রাম নেই। যারা শহিদদের গুলি করেছিল, তাদেরকে প্রোমোশন দেওয়া হয়েছে। তাই যারা এই ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের নন্দীগ্রাম পালন করার অধিকার নেই”। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করে এও বলেন যে নন্দীগ্রামের উপর ভর করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন সরকার গড়েছিলেন, সেই নন্দীগ্রামের প্রতি তাঁর বিন্দুমাত্র নিবেদন নেই।

আরও পড়ুন- নির্বাচনের আগে ফের বড় ধাক্কা, দলের ১০ জন প্রভাবশালী নেতাকে বহিষ্কার করলেন মমতা

এদিন নন্দীগ্রামের আবেগের কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলে দিলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, যারা নন্দীগ্রামের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখায় নি, তাদের নন্দীগ্রাম দিবস পালনের কোনও অধিকার নেই। এই কারণে নির্বাচনের আগে ফের একবার নন্দীগ্রা, নিতে উত্তেজনা তুঙ্গে।

Back to top button
%d