রাজ্য

কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পুলিশের, মৃত্যুর দায় নিতেই হবে মমতাকে, টুইট করে ক্ষোভ শুভেন্দুর

কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলির জেরে মৃত্যু হয়েছে বিজেপির এক সক্রিয় সদস্যের। এই মৃত্যুতে রাজনৈতিক রঙ যে লাগবে, তা স্বাভাবিক। এই মৃত্যু নিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে তিনি দাবী করেছেন যে ওই যুবকের মৃত্যুর দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিতে হবে। কালিয়াগঞ্জে মমতার পুলিশ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও দাবী তারা।

সূত্রের খবর, মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। শিলিগুড়িতে কাজ করতেন তিনি। কিছুদিআগেই বাড়ি ফিরেছিলেন। গতকাল, বুধবার রাতে পুলিশ উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম রাধিকাপুর গ্রাম অভিযান চালায়। আসামী ধরতে সীমান্তবর্তী গ্রামটিতে অভিযান করে পুলিশ।

সূত্রের খবর, সেই সময় পুলিশকে বাধা দেয় মৃত্যুঞ্জয়। এর জেরে পুলিশ গুলি চালায়। একটি গুলি লাগে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দেহে। তাঁকে দ্রুত কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

তবে এর সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ থানায় তাণ্ডবের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, কালিয়াগঞ্জ থানায় তাণ্ডবকারীদের খোঁজে গতকাল তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই কি রাধিকাপুরে অভিযান, তাও এখনও স্পষ্ট নয়। 

টুইট করে শুভেন্দু এদিন লেখেন, “কালিয়াগঞ্জে ৩৩ বছর বয়সী এক রাজবংশী যুবককে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে ‘মমতা’ পুলিশ। ট্রিগার হ্যাপি ‘মমতা’ পুলিশ মধ্যরাত ২টো ৩০ মিনিটে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তাঁকে পায়নি। এর পর ৩৩ বছর বয়সী রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করে তারা। এটা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিকৃষ্ট নজির। রাজ্য যখন জ্বলছে, গণঅভ্যুত্থানের পথে এগোচ্ছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজা নিরোর মতো আহ্লাদে রয়েছেন”।

তিনি আরও লেখেন, “গতকাল বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাঁর আজ্ঞা পালন করল। তাঁকে এই নৃশংস রাষ্ট্রীয় হত্যার দায়িত্ব নিতে হবে। এই সর্বঘাতী হিংসা ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে মানুষকে সরব কণ্ঠে গণতান্ত্রিকভাবে সোচ্চার হতে হবে”। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনার পর পরিস্থিতি আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। এবার সেখানেই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় যে নতুন করে আরও উত্তেজনা ছড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।

Back to top button
%d bloggers like this: