রাজ্য

কথা রাখলেন শুভেন্দু! কালিয়াগঞ্জ ও ময়নায় নিহত দুই বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিলেন বিরোধী দলনেতা

ময়না ও কালিয়াগঞ্জে নিহত দুই বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেবেন নিজের দায়িত্বে, এমনটাই কথা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই কথা রাখলেন তিনি। আজ, সোমবার বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকে ওই দু’জনকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু। আগামী এক বছর ওই নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের দুই সদস্য সেখান চাকরি করবেন। এরপর তাদের নিয়ে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে বিয়েবাড়িতে গিয়ে মৃত্যু হয় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে এক যুবকের। অভিযোগ, ধরপাকড়ের সময় পুলিশের গুলি লেগে মারা যান মৃত্যুঞ্জয়। এর ক’দিন পরই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খু’ন করা হয়।

এই দুই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবী করে এসেছে বিজেপি। শাসক দল ও পুলিশের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। ময়নায় দাঁড়িয়েই তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে নিহতদের পরিবারের সদস্যকে নিজেই চাকরি দেবেন তিনি।

সেকথা পালন করলেন শুভেন্দু। কালিয়াগঞ্জে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের স্ত্রী গৌরী বর্মণ ও ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার ছেলে প্রসেনজিৎ ভুঁইয়াকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রস্তাব মতোই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় চাকরি দেওয়া হয়েছে ওই দু’জনকে। জানা গিয়েছে, তারা এক বছর শুভেন্দুর অফিসে অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে চাকরি করবেন।

এদিন এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এটা করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই দায়িত্ব পালন করল না। তাই আমাদেরকে এই দায়িত্ব পালন করতে হল। যদি চাকরি নাও দিতে পারতাম, তাহলে আমি ওঁদের পার্টি অফিসেই কোনও একটা কাজে নিযুক্ত করতাম”।

তিনি এদিন আরও বলেন, “আমি তো কালিয়াগঞ্জে গিয়ে দেখে এলাম বহাল তবিয়তে মোয়াজ্জেম ডিউটি করছে। ন্যূনতম শাস্তিও দেয়নি এই পুলিশ অফিসারকে। বরং নিহতের পরিবারের প্রতি যে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল, রাগ থেকে তা করেনি। আসলে রাজবংশীরা ভোট দেয়নি। তাই ওদের চাকরিও দেয়নি”।

Back to top button
%d bloggers like this: