বিরাট রদবদল বঙ্গ বিজেপিতে, বিরোধী দলনেতার পদ হারাতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী, আলোচনা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের

আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। আর এরই মধ্যে বঙ্গ বিজেপিতে বড় রদবদল করতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় বিজেপির যে তিন গোষ্ঠী রয়েছে, সেই তিন গোষ্ঠীতেই রদবদল করার চিন্তা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সভাপতি জে পি নাড্ডারা। বিজেপির তিন গোষ্ঠীর নেতা দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর পদের বদল ঘটতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে।
হঠাৎ কেন এই রদবদল?
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় দলের জেরেই বঙ্গ বিজেপিতে বড় রদবদল করতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সবদিক থেকে বিচার করেই বঙ্গ বিজেপির তিন গোষ্ঠীর তিন নেতাকে পৃথকভাবে তিনটি পদ দিতে চাইছেন তারা। জানা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারকে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
শুভেন্দুর কী হবে?
জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে। সেই জায়গায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে আনতে চাইছে দিল্লি। অন্যদিকে, শুভেন্দুকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে বসাতে চাইছে কেন্দ্র।
এই সিদ্ধান্তই কী চূড়ান্ত?
সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী নিজে সাংবিধানিক পদ বিরোধী দলনেতা ছেড়ে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হতে রাজি নন। কারণ ২০২৪ সালে যদি কেন্দ্রে বিজেপি না ফেরে, তবে দলের রাজ্য সভাপতির পদ কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁর। কিন্তু যেহেতু বিরোধী দলনেতার পদটি রাজ্যে মন্ত্রিসভার মন্ত্রীর সমতূল্য, সেই কারণে নিজের এই বর্তমান পদটিই রাখতে চান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
অন্যদিকে আবার রদবদলের সিদ্ধান্তে আরএসএস নেতৃত্ব চাইছেন, তাদের সংগঠনের লোক দিলীপ ঘোষকেই ফের বঙ্গ বিজেপির সভাপতি করা হোক। কারণ দিলীপের সভাপতিত্বের কারণেই লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি সবচেয়ে ভালো ফল করেছিল। তিনি সভাপতির দায়িত্ব পদ থেকে সরে আসার পর থেকে রাজ্যে যতগুলি উপনির্বাচন ও পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে বিজেপির যে শুধু খারাপ ফল করেছে তা নয়, ভোটের হারও কমেছে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদের জন্য দিলীপ ঘোষের উপরই আস্থা রাখছে আরএসএস।