রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতির তালিকায় আরও ৬ তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কের নাম, বড় খোলসা করলেন শুভেন্দু, তালিকায় রয়েছেন মুকুল-পুত্রও

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন রাজ্য কার্যত উত্তাল। প্রতিদিনই কোনও না কোনও তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসছে এই দুর্নীতিতে। গতকাল, সোমবারই ৬৫ ঘণ্টা জেরা-তল্লাশির পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। আর এবার সামনে এল আরও ৬ তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কের নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত এই নেতানেত্রীদের নাম টুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই ৬ সাংসদ-বিধায়কের নাম উল্লেখ করে তাদের সুপারিশ করা ব্যক্তিদের নাম দিয়ে একাধিক তালিকা সামনে এনেছেন শুভেন্দু। টাকার বিনিময়েই চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে বলে দাবী শুভেন্দুর। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

টুইট করে শুভেন্দু জানান যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। তিনি এও দাবী করেছেন যে দুর্নীতির শিকড় পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য আরও বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রীদের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

শুভেন্দু তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের যে তালিকা প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে নাম রয়েছে সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ওরফে আফরিন আলি, মন্ত্রী অখিল গিরি, বিধায়ক নিশীথ মালিক, আবু তাহের খানের। এছাড়াও, নাম রয়েছে তৃণমূলের দুই প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝি ও মুকুল রায়-পুত্র শুভ্রাংশু রায়েরও।

যদিও শুভেন্দুর এই দাবী মানতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই তালিকা প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে পাল্টা তোপ দেগে বলেন, “আমাদের প্রশ্ন, গ্রেফতার না হয়ে শুভেন্দু ঘুরে বেড়াচ্ছেন কী ভাবে? নারদ-কাণ্ডে এফআইআরে ওঁর নাম আছে, তদন্ত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন। এখন সিবিআই একমুখী তৎপরতা দেখাচ্ছে। সিবিআইয়ের উচিত সারদা ও নারদ মামলায় শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা”।

অন্যদিকে, মন্ত্রী অখিল গিরির কথায়, “বিরোধী দলনেতা কিছু বলতেই পারেন। চাইলে যে কেউ তদন্তও করতে পারে। সেই তদন্তে আমি সহযোগিতা করব। তবে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে যে কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে, তারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন”। এই নিয়ে শুভেন্দুকে তোপ দেগেছেন অপরূপা পোদ্দারও।

Back to top button
%d bloggers like this: