পূজোর বিশেষ উপহার! মহালয়ার আগেই খুলে যাচ্ছে টালা ব্রিজ, ভোগান্তি কমবে নিত্যযাত্রীদের

কলকাতা ও ব্যারাকপুরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের অন্যতম পন্থা ছিল টালা ব্রিজ। কিন্তু সেই নতুন করে গড়তে ভেঙে দেওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ তথা নিত্যযাত্রীদের যে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবার পূজোয় শহর ও শহরতলির মানুষকে সুবিধা করে দিতেই টালা ব্রিজ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলো রাজ্য সরকারের তরফে।
জানা গিয়েছে, গতকাল, শুক্রবার পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক দফতরের সচিব এবং ইঞ্জিনিয়াররা নবান্নে একটি রিভিউ বৈঠক করেন। এই বৈঠকে আলোচনা করা হয় নানান প্রকল্প নিয়ে। আর এর মধ্যে অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল টালা ব্রিজ। দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে টালা ব্রিজের কাজ।
জানা যাচ্ছে, ব্রিজের একটি অংশে কাজ করার জন্য বন্ধ রাখতে হবে ব্রিজের নিচে ট্রেন চলাচল। আর এর জন্য অনুমতি লাগবে রেলের। কয়েকদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য রেল অনুমতি নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কথা বলবেন রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। আর এরপরই শহরের নানান ব্রিজগুলির পরীক্ষা শুরু করে রাজ্য সরকার। এই পরীক্ষায় টালা ব্রিজের স্বাস্থ্যে কিছু ভুল ত্রুটি ধরা পড়ে। আর ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি মাঝরাত থেকে টালা ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু হয় ব্রিজ ভাঙার কাজ। সূত্রের খবর, নতুন টালা ব্রিজ হবে ৮০০ মিটার লম্বা এবং ১৯ মিটার মিটার চওড়া। চার লেনের ব্রিজ হবে এটি, এমনটাই জানা গিয়েছে।
বলে রাখি, শহরের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনকারী এই টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলায় বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়েন কলকাতা ও শহরতলীর মানুষজন। নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলায় যান চলাচলের জন্য দুটি বিকল্প রাস্তা শুরু হয়। সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে কাশিপুরের লকগেট ব্রিজ হয়ে ডানলপগামী গাড়ি চলাচল করে আপাতত।
আবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শ্যামবাজার আরজি কর রোড হয়ে গাড়ি চলছে পাইকপাড়া দিয়ে। তবে এই ঘুরপথের যাত্রা যে শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে, তেমনই ইঙ্গিত মিলল রাজ্যের তরফে। পূজোর আগেই খুলে যেতে পারে টালা ব্রিজ।